• বাংলা
  • English
  • শিক্ষা

    জাল সনদ দিয়ে চাকরি।৬৭৮ শিক্ষকের বরখাস্তের নির্দেশ

    জাল সনদ দিয়ে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চাকরি নেওয়া ৬৭৮ শিক্ষককে বরখাস্তের নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। একই সঙ্গে এসব শিক্ষকের বেতন বাবদ নেওয়া টাকা ফেরত দিতে এবং সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলাসহ সাত দফা শাস্তির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ১৮ মে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও গতকাল মঙ্গলবার তা প্রকাশ করা হয়।

    জানা গেছে যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তর (ডিআইএ) এর আগে সার্টিফিকেট জালিয়াতির জন্য মোট ১৫৭৭ জনকে তদন্ত করে চিহ্নিত করেছিল। এদের মধ্যে ৬৭৮ জনকে শাস্তির আদেশ দেওয়া হয়েছে। বাকিদের বিষয়টি রহস্যজনক কারণে উঠে আসেনি। তবে এরই মধ্যে বেশ কয়েকজনকে মন্ত্রণালয় ‘নিরাপরাধ’ বলে খালাস দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ডিআইএ চিহ্নিত ব্যক্তিরা সরকারের কাছ থেকে প্রায় ২৬.৫ কোটি টাকা বেতন-ভাতা পেয়েছেন। ডিআইএ তাদের প্রতিবেদনে রুপি পুনরুদ্ধারের সুপারিশ করেছে।

    ২০১৫ সাল থেকে, জাতীয় শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (NTRCA) সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশ করেছে। আগে সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নিজেই প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগ দিত। তবে ওইসব নিয়োগ বোর্ডে সরকারি প্রতিনিধি ছিলেন। এ কারণে প্রশ্ন উঠেছে, শিক্ষক নিয়োগের আগে তার নথিপত্র স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা থেকে যাচাই করা উচিত। এ ছাড়া এসব শিক্ষক এমপিওভুক্ত হওয়ার পরও তাদের কাগজপত্র মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে যাচাই করা বাকি রয়েছে। কিন্তু কেন তা যাচাই করা হয়নি তার কোনো উত্তর নেই।

    এ অপকর্মের পেছনে শিক্ষা প্রশাসনের অসাধু কর্মকর্তাদের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। বিশেষ করে এনটিআরসিএ, মাউশি এবং শিক্ষক নিবন্ধন সার্টিফিকেট প্রত্যয়নকারী মন্ত্রণালয়ের মধ্যে একটি ক্যাবল রয়েছে, যারা ভুয়া সার্টিফিকেটধারীদের রক্ষা করার জন্য যোগসাজশ করছে। একই সঙ্গে প্রয়োজনে জাল সার্টিফিকেট পেতে সাহায্য করে।