• বাংলা
  • English
  • জাতীয়

    জাফরুল্লাহ ইসি গঠনে সাখাওয়াত হোসেন ও বদিউল আলমসহ ৫ জনের নাম প্রস্তাব করেছেন।

    নির্বাচন কমিশনে সাবেক নির্বাচন কমিশনার সাখাওয়াত হোসেন, বদিউল আলম মজুমদার ও সুলতানা কামাল ৫ জনের নাম প্রস্তাব করেছেন। জাফরুল্লাহ চৌধুরী।

    মঙ্গলবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে আয়োজিত স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের অবিসংবাদিত নেতা মাওলানা ভাসানী।

    ঐতিহাসিক কাগমারী সম্মেলন দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এ প্রস্তাব দেন।

    জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, সার্চ কমিটির পকেটে কী কাগজ আছে, কে হবেন নির্বাচন কমিশনার? আজ যদি প্রকৃত নির্বাচন হতে হয়, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে হবে, জনগণকে ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে, তাহলে একটি শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন প্রয়োজন। বর্তমান আইনে সেই বিধান নেই। এমন পরিস্থিতিতে অনেক রাজনৈতিক দলই সার্চ কমিটিতে কারও নাম প্রস্তাব করেনি। তবে কয়েকটি নাম বিবেচনা করতে পারেন, সাবেক নির্বাচন কমিশনার ছিলেন সাখাওয়াত হোসেন। তাকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার করা হলে তিনি উপায় জানেন, তিনি কঠোরভাবে কাজগুলো করতে পারবেন। তার সঙ্গে রয়েছেন সাবেক সেনা কর্মকর্তা ইকবাল করিম ভূঁইয়া, যার সুনাম রয়েছে ভদ্রলোক হিসেবে। বদিউল আলম মজুমদার এবং বিচারপতি নাজমুন আরা ও সুলতানা কামালের মতো সত্যিই সদয় ও সাহসী ব্যক্তিদের কমিশনে আনা হলে কমিশন কিছুটা  বিতর্কমুক্ত হবে।

    সুশাসন প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশকে ১৭ টি প্রদেশে ভাগ করার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, জাতীয় সরকার, সর্বদলীয় সরকার বা নির্দলীয় সরকার যাই করুক না কেন, তাদের অন্তত দুই বছর সময় দিতে হবে। তাহলে সংবিধানের ত্রুটিগুলো বদলে যাবে। কিন্তু বটম লাইন হল যে দেশ আসলে এত কেন্দ্রীয়তা নিয়ে এগোতে পারে না। ১৮ কোটি মানুষের বাংলাদেশকে অন্তত ১৭টি প্রদেশে ভাগ করতে হবে। তাহলে ফুটবে শত শত ফুল। আপনারা অনেকেই মুখ্যমন্ত্রী হবেন, মন্ত্রী হবেন। কিছু মন্ত্রী বা মুখ্যমন্ত্রী বলবেন আমরা শিক্ষার দিকে নজর দেব, কেউ বলবেন আমরা কৃষক ও শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করব।

    বর্তমান সরকার ক্ষমতায় থাকলে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয় উল্লেখ করে জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘অত্যাচারীরা কখনো ক্ষমতা ছাড়ে না, তাদের ক্ষমতা ছাড়তে হবে।’ আজ বিএনপি তাদের কার্যালয়ে কোনো সভা করতে পারছে না। সেখান থেকে নিয়ে যাচ্ছে। তাই তাদের (বিএনপি) উচিত পরশুদিন বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দেওয়া। কারণ অত্যাচারীরা কখনো ক্ষমতা ছাড়তে চায় না। নিপীড়কদের শক্তি হারাতে হবে। আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে তাদের পতন হয়।

    আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন- নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) সভাপতি ও ৬৯’ ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি মোস্তফা জামাল হায়দার, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, ভাসানী আনুসারী পরিষদের মহাসচিব শেখ রফিকুল হক প্রমুখ। ইসলাম বাবলু, গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়ক সাকি, গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নুর, ভাসানী অনুসারী পরিষদের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও মুক্তিযোদ্ধা নঈম জাহাঙ্গীর, বাংলাদেশ বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য বিনসাকি জামালী, মুক্তিযোদ্ধা আক্তার হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আক্তার হোসেন প্রমুখ। সভা পরিচালনা করেন ভাসানী অনুসারী পরিষদের হাবিবুর রহমান রিজু।

    মন্তব্য করুন