জানুয়ারিতে আসতে পারে কনকনে ঠান্ডা
পৈাষের শীত গেল গত সপ্তাহে ।দেশের উত্তরে শীতকালীন শীত শুরু হয়েছে তখনই। রাজধানী ঢাকাসহ কেন্দ্রীয় অঞ্চলেও হিমশীতল প্রবাহ বয়ে যায়। সেই শীতল তরঙ্গ চলছে ১০ দিন ধরে। তবে গত সপ্তাহের শেষে ঢাকায় শীত কিছুটা নেমে আসে। তবে গত শনিবার সন্ধ্যার পরে ঢাকায়ও শীত পড়ছে। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা উত্তর জেলার বিভিন্ন অঞ্চলে 7৬থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করেছে। আবহাওয়াবিদদের মতে, ডিসেম্বরের পরের কয়েক দিন শীতের আমেজেই কাটবে। জানুয়ারিতে আসতে পারে কনকনে ঠান্ডার ধাক্কা।
আবহাওয়া অধিদফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, রবিবার রাজশাহী দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে ৭..৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৫.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রংপুর, রাজশাহী, যশোর, গোপালগঞ্জ, ঈশ্বরদী, বাদলগাছি, চুয়াডাঙ্গা, কুমারখালী ও শ্রীমঙ্গল অঞ্চলে হালকা থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ চলছে। এর মধ্যে রবিবার গোপালগঞ্জে ৯.৮, শ্রীমঙ্গলে ৮.৪, ঈশ্বরদীতে ৮.৭, বাদলগাছিতে ৮.৪, দিনাজপুরে ৯.৫, তেঁতুলিয়ায় ৮.১, রাজারহাটে ১০ ডিগ্রি, চুয়াডাঙ্গায় ৭.৯, যশোরে ৮.৮, রয়েছে। বরিশালে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
আবহাওয়াবিদ আবদুর রহমান জানান, ডিসেম্বরের শেষের দিকে উত্তর কোথাও কোথাও এ ধরণের একটানা শীতল তরঙ্গ রয়েছে। দেশের বিভিন্ন জায়গায় তাপমাত্রা বাড়ছে। তবে রংপুর বিভাগ, গোপালগঞ্জ, রাজশাহী, ঈশ্বরদী, বাদলগাছি, যশোর, চুয়াডাঙ্গা, কুমারখালী ও শ্রীমঙ্গলে হালকা (৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস) মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ আরও কয়েক দিন অব্যাহত থাকতে পারে।
আবদুর রহমান বলেন যে যে অঞ্চলে হালকা শীত প্রবাহ বিরাজ করছে সেগুলি বাড়বে না। এই পরিস্থিতি পরবর্তী তিন থেকে চার দিন অব্যাহত থাকবে। কোথাও তাপমাত্রা কিছুটা কমে যেতে পারে। তবে এটি বড় উপায়ে পরিবর্তন হতে পারে না।
তিনি বলেন যে ডিসেম্বর শেষে উত্তরের কোথাও একটানা শৈত্যপ্রবাহ চলছে। উত্তর বাতাস এবং কুয়াশায় বাতাস ব্যতিক্রম নয়।
সোমবার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, দেশের নদীর কিছু অংশে মধ্যরাত থেকে সকাল এবং দেশের অন্য কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।