জানালেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী,বিশ্বের ১৬০ দেশের মানুষ বাংলাদেশের তৈরি পোশাক পরে
বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, বিশ্বের ১৬০ দেশের মানুষ বাংলাদেশে তৈরি পোশাক পরে। মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) আয়োজিত ১৬তম বাংলাদেশ ডেনিম এক্সপোর সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী বলেন, ‘পোশাক শিল্পের হাত ধরে বাংলাদেশে অর্থনৈতিক মুক্তি এসেছে। বিশ্বের প্রায় ১৬০টি দেশে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক পরে। বাংলাদেশ আজ শুধু বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পোশাক রপ্তানিকারক নয়, একটি নিরাপদ পোশাক প্রস্তুতকারকও। বিশ্বের সবচেয়ে বড় সবুজ পোশাকের কারখানা আমাদের দেশে।
জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ‘বাংলাদেশ ডেনিম এক্সপো শুধু বাংলাদেশে নয়, বিশ্বের ডেনিম মেলার মধ্যে একটি প্রশংসনীয় আয়োজন। এবারের ডেনিম এক্সপোতে ১৩টি দেশের ৬০টির বেশি কোম্পানি অংশ নিয়েছে। যা আমাদের জন্য গর্বের বিষয়। গার্মেন্টস শিল্প বাংলাদেশের অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তি। দেশের রপ্তানি আয়ের ৮৪ শতাংশ আসে এই শিল্প থেকে। এই শিল্পে প্রায় ৪ মিলিয়ন শ্রমিক রয়েছে। যার মধ্যে ৬৫ শতাংশই নারী। দেশের ২ কোটি মানুষের জীবিকা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে এ শিল্পের সঙ্গে জড়িত। এদেশে এ শিল্পের অবদান প্রায় ১১ শতাংশ। গত বছর এদেশে পোশাক রপ্তানির পরিমাণ ছিল ৪৭ বিলিয়ন ডলারের বেশি।
বাংলাদেশের পোশাক ক্রেতাদের উদ্দেশে বস্ত্রমন্ত্রী বলেন, ‘আজকের অনুষ্ঠানে উপস্থিত গার্মেন্টস ক্রেতাদের অনুরোধ করবো বাংলাদেশকে পোশাক উৎপাদনকারী দেশ হিসেবে গন্তব্য হিসেবে নিতে। আপনি জামাকাপড়ের জন্য সঠিক মূল্য দিতে হবে. আফ্রিকার কোনো নন-কমপ্লায়েন্ট দেশের কাপড়ের চেয়ে এদেশে কাপড়ের দাম একটু বেশি হবে এটাই স্বাভাবিক।
দেশের পোশাক শিল্প মালিকদের প্রশংসা করে তিনি বলেন, ‘আমাদের পোশাক শিল্পের উদ্যোক্তারা অনেক স্মার্ট। তারা প্রতিটা চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করেছে অত্যন্ত সাহসিকতার সাথে। চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে তারা এই পোশাক শিল্পকে আরও এগিয়ে নিয়ে গেছে।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশে নেদারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত ইরমা ভ্যান ডুরেন, বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান, বিজিএমইএর বর্তমান সভাপতি এসএম মান্নান কচি, এইচএন্ডএম বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও ইথিওপিয়ার আঞ্চলিক প্রধান জিয়াউর রহমান।