• বাংলা
  • English
  • জাতীয়

    জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, কোষাধ্যক্ষ শাহেদ চৌধুরী।

    জাতীয় প্রেসক্লাবের ব্যবস্থাপনা কমিটির দ্বিবার্ষিক নির্বাচনে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সাংবাদিক ফোরাম মনোনীত আওয়ামী লীগের প্যানেলের প্রার্থীরা সভাপতি, সহসভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, যুগ্ম সম্পাদক ও কোষাধ্যক্ষসহ ৯টি পদে বিজয়ী হয়েছেন।
    কার্যনির্বাহী পরিষদে ১৭টি পদের মধ্যে ৭টিতে জয় পেয়েছে বিএনপি সমর্থিত প্যানেল প্রার্থীরা। বিএনপি সমর্থিত প্যানেল থেকে একজন সিনিয়র সহ-সভাপতি ও ৬ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়া সদস্য পদে একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন।
    আওয়ামী লীগের প্যানেল থেকে ইত্তেফাকের ফরিদা ইয়াসমিন সভাপতি ও ভোরের কাগজী সম্পাদক শ্যামল দত্ত সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়া কোষাধ্যক্ষ পদে নির্বাচিত হন তৎকালীন নগর সম্পাদক শাহেদ চৌধুরী। ফরিদা ইয়াসমিন ও শাহেদ চৌধুরী নিজ নিজ পদে পুনঃনির্বাচিত হয়েছেন।
    সাবেক নগর সম্পাদক শাহেদ চৌধুরী প্রেসক্লাবের ব্যবস্থাপনা কমিটির যুগ্ম সম্পাদকের দায়িত্বও পালন করেন। এ ছাড়া তিনি ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে দুই মেয়াদে সভাপতি ও দুই মেয়াদে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।
    শনিবার রাত ৮টায় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন। মোস্তফা-ই-জামিল। ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী ফরিদা ইয়াসমিন পেয়েছেন ৫৬৭ ভোট। বিএনপি সমর্থিত প্যানেল থেকে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বাসসের কামাল উদ্দিন সবুজ পেয়েছেন ৪০১ ভোট।
    সাধারণ সম্পাদক পদে শ্যামল দত্ত পেয়েছেন ৪৯৬ ভোট। বিএনপি সমর্থিত প্যানেলের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ইলিয়াস খান পেয়েছেন ৪৭৪ ভোট।
    অন্যান্য পদে বিজয়ীরা হলেন- সিনিয়র সহ-সভাপতি হাসান হাফিজ (৫৫৯ ভোট), সহ-সভাপতি রেজওয়ানুল হক রাজা (৫৮৩ ভোট), যুগ্ম সম্পাদক আইয়ুব ভূঁইয়া (৫৪০ ভোট) ও আশরাফ আলী (৪৯১ ভোট) এবং কোষাধ্যক্ষ সমকাল নগর সম্পাদক শাহেদ চৌধুরী (৫৭৬ ভোট)। ভোট)। এদের মধ্যে সিনিয়র সহ-সভাপতি হাসান হাফিজ বিএনপি সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থী।
    এছাড়া নির্বাচিত সদস্যরা হলেন ফরিদ হোসেন (৪৯৫), কাজী রওনক হোসেন (৪২২), শাহনাজ সিদ্দিকী সোমা (৩৯০), কল্যাণ সাহা (৩৮২), শাহনাজ বেগম পলি (৩৬০), সৈয়দ আবদাল আহমদ (৩৪৭), জুলহাস আলম (৩৪৫)। বখতিয়ার রানা (৩৩০), মোহাম্মদ মমিন হোসেন (৩৩০), শিমান্দ খোকন (২৮৯)।
    এই ১০ সদস্যের মধ্যে তিনটিতে ফরিদা-শ্যামল দত্ত পরিষদের প্রার্থী জয়ী হয়েছেন। তারা হলেন ফরিদ হোসেন, শাহনাজ সিদ্দিকী সোমা ও কল্যাণ সাহা। এ পদে আরও ছয় বিএনপি সমর্থিত প্যানেল প্রার্থী।
    আর স্বতন্ত্র বিজয়ী প্রার্থী হলেন অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের (এপি) ঢাকা ব্যুরো চিফ জুলহাস আলম।
    সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন নির্বাচনে বিজয়ী ফরিদা ইয়াসমিন-শ্যামল দত্ত পরিষদের নেতারা।
    ফলাফল ঘোষণার পর ফরিদা ইয়াসমিনের নেতৃত্বে বিজয়ীরা জাতীয় প্রেসক্লাবে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে ক্লাব সদস্যদের উদ্দেশে ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, ক্লাবের ২ দশমিক ৬ একর জমিতে ২১ তলা আধুনিক বঙ্গবন্ধু মিডিয়া কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হবে। ইতোমধ্যে এ কমপ্লেক্স নির্মাণের জন্য ডিপিপি (ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট প্রোফাইল) চূড়ান্ত করেছে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়। শিগগিরই নির্মাণ কাজ শুরু হবে। এ নির্মাণে সহযোগিতা করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
    এর আগে সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত একটানা ভোটগ্রহণ চলে। ১ হাজার ১০২ ভোটারের মধ্যে ভোট দিয়েছেন ৯৮৫ জন। আট সদস্যের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য ছিলেন জাফর ইকবাল, এসএএম শওকত হোসেন, মিনার মনসুর, গৌতম অরিন্দম বড়ুয়া (শেলু বড়ুয়া), শামীমা চৌধুরী, মো. মনিরুজ্জামান ও নবনীতা চৌধুরী।
    এবারের নির্বাচনে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ কার্যনির্বাহী পরিষদের মোট ১৭টি পদে ৪৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। প্রতিবারের মতো এবারও দুটি প্যানেলে নির্বাচন হয়েছে। ৩৪ জন প্রার্থী দুটি প্যানেলে এবং ১১ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী কোষাধ্যক্ষ ও সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
    মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিষয়ক সাংবাদিক ফোরাম কর্তৃক মনোনীত আওয়ামী লীগ প্যানেলের নেতৃত্বে ছিলেন ইত্তেফাকের ফরিদা ইয়াসমিন ও ভোরের কাগজের শ্যামল দত্ত। অপরদিকে বিএনপির ফোরাম মনোনীত প্যানেলে সভাপতি পদে বাসসের কামাল উদ্দিন সবুজ ও সাধারণ সম্পাদক পদে আমার দেশের ইলিয়াস খান।

    মন্তব্য করুন