জাতিসংঘের ‘ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং দল’ তদন্তে নামছে আজ
চলতি বছরের জুলাই-আগস্টে সারাদেশে উত্তাল অবস্থা। আন্দোলনের মাঠে মৃত্যু, গুরুতর আহত ও নিখোঁজের সংখ্যাও কম নয়। জাতিসংঘের ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং টিম শনিবার থেকে এই দুই মাসের সব হতাহতের তদন্ত শুরু করবে।
শুক্রবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, অন্তর্বর্তী সরকারের আমন্ত্রণে জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং দল বাংলাদেশে এসেছে। তাদের তদন্তে সরকার সার্বিক সহযোগিতা করবে।
বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ সূত্রে জানা গেছে, ছাত্রদের আন্দোলনে আট শতাধিক মানুষ নিহত ও সহস্রাধিক মানুষ আহত হয়েছেন। বাড়ির শিশুরাও গুলিতে প্রাণ হারায়। এতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রায় ৫০ সদস্য নিহত হয়। এ ছাড়া বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানও পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
এদিকে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বা পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে বৈঠকের মাধ্যমে আজ জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং দল তাদের কাজ শুরু করার কথা রয়েছে বলে জানা গেছে।
ইতোমধ্যে ফরেনসিক, আইন ও অন্যান্য বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে জাতিসংঘের প্রতিনিধি দলের একটি কারিগরি দল প্রস্তুত রয়েছে। এ প্রসঙ্গে এই কর্মকর্তা বলেন, বাংলাদেশের জন্য এটি প্রথম অভিজ্ঞতা, তাই আমাদের খুব সাবধানে কাজ করতে হবে।
জাতিসংঘ দলের ম্যান্ডেট সম্পর্কিত, তারা ১ জুলাই থেকে ১৫ আগস্ট পর্যন্ত মানবাধিকার লঙ্ঘনের তদন্ত করবে। তারা ঘটনার কারণগুলি পর্যবেক্ষণ ও পর্যালোচনা করবে এবং ন্যায়বিচার ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে দীর্ঘমেয়াদী পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে সে বিষয়ে সুপারিশ করবে।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের আগস্টের শেষ সপ্তাহে জাতিসংঘের ভ্যানগার্ড দল ঢাকায় এসে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, আইন মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করে। বিষয়, শিক্ষার্থী, সুশীল সমাজ, গণমাধ্যমসহ অন্যান্য পক্ষ। বৈঠকে বাংলাদেশের জনগণের চাহিদা, মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা হয়। সুশীল সমাজ, সত্য প্রকাশ, ক্ষতিপূরণ এবং সামাজিক পার্থক্যের পুনর্মিলন নিয়েও আলোচনা হয়েছে।