জয় হত্যা মামলায় গ্রেফতার ৪ জনের মধ্যে শীর্ষ অপরাধী লালু
মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় বিতর্কিত জহিরুল ইসলাম জয় (২৬) হত্যা মামলার প্রধান আসামি শীর্ষ অপরাধী লালুকে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা গ্রেপ্তার করেছে। গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান আলী আজ বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) সকালে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন গজারিয়া উপজেলার ইমামপুর ইউনিয়নের হোগলাকান্দি গ্রামের মৃত মনির হোসেনের ছেলে লালু (৪৫) এবং মামলার আসামিরা হলেন বাউশিয়া ইউনিয়নের চৌদ্দকাহোনিয়া গ্রামের আলাউদ্দিনের ছেলে শাকিল (২৭), একই গ্রামের মৃত মাহমুদ হোসেনের ছেলে আলাউদ্দিন (৬৫) এবং জসিম (৪৫)। হাসান আলী জানান, গতকাল বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) গভীর রাতে ঢাকা এবং এর আশেপাশের বিভিন্ন এলাকায় পৃথক অভিযান চালিয়ে র্যাব-৩ এবং র্যাব-১১ সদস্যরা তাদের গ্রেপ্তার করে। পরে গ্রেপ্তারকৃতদের গজারিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ২৬ নভেম্বর রাতে গজারিয়া উপজেলার বাউশিয়া ইউনিয়নের চৌদ্দকাহানিয়া গ্রামে জয় সরকারকে টিকটক ভিডিও তৈরির অভিযোগে বাড়ি থেকে ডেকে নিষ্ঠুরভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এই ঘটনায় দায়ের হওয়া হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার চার আসামি দীর্ঘদিন ধরে পলাতক ছিলেন। গতকাল মধ্যরাতে রাজধানীর হাতিরঝিল এলাকা থেকে শীর্ষ সন্ত্রাসী লালুকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-৩। অন্যদিকে, নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকা থেকে শাকিল, কাচপুর বালুর মাঠ এলাকা থেকে আলাউদ্দিন এবং ফতুল্লা থানা এলাকা থেকে জসিমকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-১১।
গজারিয়া থানার ওসি হাসান আলী বলেন, “লালু গজারিয়া উপজেলার শীর্ষ সন্ত্রাসী। তার বিরুদ্ধে ৪টি খুনের মামলা, অস্ত্র, মাদক ও মারামারিসহ বিভিন্ন অপরাধের অন্তত ২৩টি মামলা রয়েছে। এই আসামিদের গ্রেপ্তারের ফলে এলাকার সাধারণ মানুষের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে।” তিনি বলেন, “আজ সকালে গ্রেফতারকৃতদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। বাকি আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের চেষ্টাও চলছে।” এদিকে, জয় সরকার হত্যা মামলার বাদী এবং নিহতের বোন জান্নাতুল ফেরদৌস শীর্ষ সন্ত্রাসী লালুর গ্রেপ্তারের খবরে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, “আমি চাই লালু যেন কোনওভাবেই জামিন না পায় এবং আইনের মাধ্যমে তার সর্বোচ্চ শাস্তি, মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিত করা হোক।”

