জব্বারের বলী খেলা,হারানো মুকুট ফিরে পেলেন শাহজালাল
বৈশাখের তপ্ত রোদ তখনও থেমে যায়নি। তবে লালদীঘিতে বলী খেলার মাঠে মঞ্চ প্রস্তুত। খেলায় দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ৬০ জন অংশগ্রহণ করে তাদের শক্তি ও দৃঢ়তা দেখান। তাদের মধ্যে পঁয়ষট্টি বছর বয়সী দুজন ছিলেন। সূর্যের চোখের রঙ উপেক্ষা করে একে একে তারা নেমে গেল লড়াইয়ের মঞ্চে।
শেষ পর্যন্ত চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী আব্দুল জব্বার বলি খেলার ১১৪তম আসরে জিতেছে কুমিল্লার শাহজালাল বলি। গতবারের বিজয়ী তরিকুল ইসলাম জীবনকে মাত্র ৬০ সেকেন্ডে হারিয়ে জয়ের মুকুট তুলে নেন তিনি। ২০১৯ সালে শাহজালাল তাকে পরাজিত করে জিতেছিলেন।
বিজয়ী শাহজালাল বলী বলেন, ‘গতবারের হারানো মুকুট ফিরে পেয়ে ভালো লাগছে।
মঙ্গলবার বিকেল তিনটায় লালদীঘি মাঠে সাড়ে চার ফুট উঁচু ও ২০ বর্গফুটের মঞ্চে এই বল খেলা হয়। খেলা শেষে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী বিজয়ী শাহজালাল বলীর হাতে ট্রফি ও পুরস্কারের অর্থ তুলে দেন। গতবার বিজয়ী চকরিয়ার তরিকুল ইসলাম জীবন বলী এবারের বলী খেলায় দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছেন। তৃতীয় হয়েছেন খাগড়াছড়ির সৃজন চাকমা বলী।
বিজয়ীকে ২৫ হাজার টাকা ও ট্রফি, দ্বিতীয় স্থান বিজয়ীকে ২০ হাজার টাকা, তৃতীয় স্থান বিজয়ীকে ৮ হাজার টাকা। এছাড়াও প্রত্যেক অংশগ্রহণকারীকে ১০০০ টাকা করে ভ্রমণ খরচ দেওয়া হয়।
এর আগে বলী খেলার উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র আব্দুস সবুর লিটন, আব্দুল জব্বার বলি খেলা ও মেলা কমিটির সভাপতি জহর লাল হাজারী ও সাধারণ সম্পাদক শওকত আনোয়ার বাদল। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন মেলা কমিটির সহ-সভাপতি ও চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি চৌধুরী ফরিদ।
বলী খেলায় প্রধান রেফারির দায়িত্ব পালন করেন সিটি করপোরেশনের সাবেক কাউন্সিলর আব্দুল মালেক। তার সহকারী ছিলেন সাবেক কাউন্সিলর জামাল উদ্দিন, সিদ্দিক বলী ও মোঃ জাহাঙ্গীর।