• বাংলা
  • English
  • বিবিধ

    ছাত্রনেতা শফি আহমেদকে বাবা-মায়ের কবরে দাফন করা হবে

    নব্বই দশকের স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম নেতা শফি আহমেদকে নেত্রকোনা সদরে তার বাবা-মায়ের কবরে দাফন করা হবে। এর আগে ঢাকা ও নেত্রকোনায় তিনটি জানাজা হবে। মরহুমের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে মরদেহও রাখা হবে জাতীয় শহীদ মিনারে।

    নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, মরহুমের প্রথম জানাজা রাত সাড়ে ১০টায় তার বাসার পাশে উত্তরা ৭ নম্বর সেক্টরের মসজিদে অনুষ্ঠিত হবে। মঙ্গলবার সকাল ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।

    শফি আহমেদের মরদেহ পূর্ণ শ্রদ্ধার জন্য আগামীকাল সকাল সাড়ে ১১টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে রাখা হবে। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে নিজ গ্রামের নেত্রকোনা সদরের মুক্তার পাড়া মাঠে মাগরিবের পর তৃতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। পরে তাকে সাতপাই কবরস্থানে বাবা-মায়ের কবরে দাফন করা হবে।

    কাল বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর উত্তরায় নিজ বাসভবনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন শফি আহমেদ। তার বয়স হয়েছিল ৬২ বছর। তিনি দুই ছেলে ও স্ত্রী ও অসংখ্য ভক্ত-অনুরাগী রেখে গেছেন।

    শফি আহমেদের স্ত্রী তাহেরা খন্দকার জানান, দুপুরে ঘুমানোর সময় তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হন। পরে তাকে উত্তরার একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক সাবেক ছাত্রনেতার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগ থেকে স্নাতক করা ছাত্রনেতা অমৃত্যু আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে ছিলেন। তিনি নেত্রকোনা-৪ আসন থেকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট করার ইচ্ছাছিল তার। কিন্তু সংসদ সদস্য (এমপি) হওয়ার সেই স্বপ্ন পূরণ হয়নি। সে তার স্বপ্ন অপূর্ণ রেখে গেছে।