রাজনীতি

ছাত্রদলের এক কর্মীকে মারধর ও আহত করার অভিযোগ উঠেছে জামায়াত নেতার বিরুদ্ধে

রাজশাহীতে এক ছাত্রদল কর্মীকে তুলে নিয়ে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করার অভিযোগ উঠেছে জামায়াত নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। গত শুক্রবার (৩ অক্টোবর) রাতে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন মতিহার থানার বুধপাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
আহত ছাত্রদল কর্মীর নাম রবিউল ইসলাম আশিক (২৪)। তিনি ওই এলাকায় থাকেন। মহানগর ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা বুধপাড়া থেকে আশিককে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। খবর পেয়ে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা আশিককে দেখতে গভীর রাতে হাসপাতালে ছুটে যান।
আহত ছাত্রদল কর্মী আশিকের ভাই রুবেল হোসেন অভিযোগ করেন যে, কয়েকদিন আগে শহরের ৩০ নম্বর ওয়ার্ডসহ বুধপাড়া এলাকায় বিএনপির পোস্টার ও ব্যানার লাগানো হয়েছিল। সেই সময় জামায়াতের সহযোগী সংগঠন শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের ৩০ নম্বর ওয়ার্ড উত্তর শাখার এক নেতা আশিককে গুলি করে হত্যার হুমকি দেন। গতকাল শুক্রবার রাতে আশিককে তুলে নিয়ে রড দিয়ে মারধর করা হয় এবং গুরুতর আহত করা হয়।
তিনি অভিযোগ করেন যে, ছাত্রদলের সদস্য হওয়ার কারণে জামায়াতের সদস্যরা আশিকের উপর হামলা চালিয়েছে।
এদিকে, শুক্রবার রাতে আশিককে রামেক হাসপাতালে ভর্তি করার পর, রাজশাহী সিটি কলেজ শাখা ছাত্রদলের সদস্য সচিব ইমদাদুল হক লিমন তার ফেসবুকে লাইভ করেন। সেই সময় আহত আশিককে বলতে শোনা যায় যে তিনি শুক্রবার রাতে বুধপাড়া মোড়ে বসে আছেন। সেই সময় ৩০ নম্বর ওয়ার্ড জামায়াতের সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানার নেতৃত্বে ১০/১২ জনের একটি দল তাকে তুলে নিয়ে রড দিয়ে মারধর করে আহত করে। তাকে মারাত্মকভাবে মারধর করা হয়।
অন্যদিকে, ছাত্রদল কর্মীর উপর হামলার নিন্দা জানিয়ে ছাত্রদল নেতা লিমন বলেন, ছাত্রদলের সদস্য হওয়ার কারণে আশিককে তুলে নিয়ে মারধর করা হয়েছে। আমরা উপযুক্ত জবাব দেব। রাতে এবং শনিবার সকালে এই বিষয়ে জামায়াত নেতা সোহেল রানার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে, নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এ ব্যাপারে আরএমপি মতিহার থানার ওসি আব্দুল মালেক বলেন, গত রাতে ছাত্রদল কর্মী আশিককে মারধরের ঘটনাটি তিনি শুনেছেন। তবে এখনও কোনও অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।