• বাংলা
  • English
  • জাতীয়

    চেক ডিজঅনার মামলায় কারাগারে পাঠানো সংবিধান পরিপন্হি: হাইকোর্ট

    চেক অনার মামলায় কাউকে কারাগারে পাঠানো সংবিধানের ৩২ অনুচ্ছেদের পরিপন্থী বলে পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এছাড়া রায়ে কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।

    বলা হয়, আদালত আশা করছে জাতীয় সংসদ খুব শীঘ্রই নেগোশিয়েবল ইনস্ট্রুমেন্টস অ্যাক্টের ১৩৮ ধারা সংশোধন করবে। তবে ১৩৮ ধারার সংশোধন না হওয়া পর্যন্ত এই ধারার অধীনে চেক অসম্মানের মামলাটি আলোচনা সাপেক্ষে চলবে। চেক অসম্মান মামলার এখতিয়ার থাকা দেশের সমস্ত আদালতে সাজার পরিবর্তে তিনগুণ পর্যন্ত জরিমানা আরোপ করা যেতে পারে।

    বিচারপতি আশরাফুল কামালের একক হাইকোর্ট বেঞ্চে বেশ কয়েকটি মামলা নিষ্পত্তি করে এই রায় দেন এই রায়ের অনুলিপি দেশের সব আদালত ও আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানোরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    রায়ের পর মামলার সংশ্লিষ্ট আইনজীবী এসএন গোস্বামী সাংবাদিকদের বলেন, হাইকোর্টের এই রায় কার্যকর হলে চেক অসম্মান সংক্রান্ত হাজার হাজার মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি হবে। এই রায় মামলা-মোকদ্দমা কমাতেও ভূমিকা রাখবে।

    রায়ে বলা হয়েছে, একজন ব্যক্তির ব্যক্তিগত স্বাধীনতা হরণ করা অসাংবিধানিক। নেগোশিয়েবল ইনস্ট্রুমেন্টস অ্যাক্টের অধীনে চেক অসম্মানের মামলায় একজন ব্যক্তির কারাদণ্ড ব্যক্তিগত স্বাধীনতার বঞ্চনার সমান।

    উন্নত বিশ্বের উদাহরণ টেনে বলা হয়, সিঙ্গাপুর, ফ্রান্স, ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়াসহ অন্যান্য দেশে চেক অনাদরের মামলায় জেল দেওয়ার বিধান নেই। এই দেশগুলিতে, চেকের অসম্মানের মামলাগুলি দেওয়ানী প্রকৃতির হিসাবে বিবেচিত হয়। ১৯৯৪ সালে দণ্ডবিধি সংযোজনের মাধ্যমে বাংলাদেশ নেগোশিয়েবল ইনস্ট্রুমেন্টস অ্যাক্টকে আধা-ফৌজদারী করা হয়।

    মন্তব্য করুন