চুয়াডাঙ্গায় বিএনপি-জামায়াত সংঘর্ষে ১৩ জন আহত
বিলবোর্ড ও প্রতীক টাঙানোকে কেন্দ্র করে চুয়াডাঙ্গায় দুটি পৃথক স্থানে বিএনপি-জামায়াত সংঘর্ষে ১৩ জন আহত হয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) বিকেল ৫টার দিকে চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের আলমডাঙ্গা উপজেলার শ্যামপুর গ্রামে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, সংঘর্ষে একজন মহিলা ইউপি সদস্যসহ কমপক্ষে ১১ জন আহত হয়েছেন। সংঘর্ষের সময় দুটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়। আহতদের আলমডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং স্থানীয় একটি ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে।
আহত বিএনপি নেতাকর্মীরা হলেন আলমডাঙ্গা পৌরসভা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম কনক, সদস্য সাজাহান ও আলীম, কুমারী ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক তাইজেল হোসেন, ১ নম্বর ওয়ার্ডের মহিলা ইউপি সদস্য রোকসানা খাতুন এবং তার স্বামী রশিদুল ইসলাম। এদিকে, জামায়াত পক্ষের আহতরা হলেন হারুনের ছেলে মুরাদ আলী, মাহাতাবের ছেলে আরিফ, পলাশের ছেলে লাল্টু, সাদেক আলীর ছেলে ওল্টু এবং তার মেয়ে ফাতেমা খাতুন। এ প্রসঙ্গে আলমডাঙ্গা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম রোকন বলেন, “যুবলীগের কর্মীরা জামাতের আড়ালে পরিকল্পিতভাবে আমাদের উপর হামলা চালিয়েছে। আমাদের ছয়জন নেতাকর্মী আহত হয়ে চিকিৎসাধীন।”
আলডাঙ্গা উপজেলা জামায়াতের আমির শফিউল আলম বকুল বলেন, “আমরা যখন দাঁড়িপাল্লা ঝুলাতে যাই, তখন বিএনপির এক মহিলা ইউপি সদস্য এবং তার স্বামী আমাদের বাধা দেন। পরে বিএনপির নেতাকর্মীরা আমাদের বাড়িতে হামলা চালায়। এর ফলে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়।” আলমডাঙ্গা থানার ওসি মাসুদুর রহমান বলেন, “খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।”
অন্যদিকে, চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের দর্শনা থানার মদনা-পরকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের কামারপাড়া গ্রামে বিলবোর্ড লাগানোকে কেন্দ্র করে বিএনপি ও জামায়াত সমর্থকদের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা দেখা দেয়। সকালে শুরু হওয়া বিরোধের জেরে বিকেলে উভয় পক্ষের সংঘর্ষে দুজন আহত হন। আহতরা হলেন জামায়াত সমর্থক খাজা এবং বিএনপি সমর্থক আজিজুল ইসলাম।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, আহতদের ঘটনাস্থলেই প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। উভয় পক্ষই সংঘর্ষের উৎপত্তি ও দায়িত্বের জন্য একে অপরকে দোষারোপ করছে। এ প্রসঙ্গে দর্শনা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুলতান মাহমুদ বলেন, ‘বিলবোর্ড লাগানোকে কেন্দ্র করে জামায়াত ও বিএনপি সমর্থকদের মধ্যে মারামারি হয়েছে। আমি শুনেছি দুজন আহত হয়েছেন। এখন পর্যন্ত কেউ আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দায়ের করেনি। প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যদি কোনও অভিযোগ পাওয়া যায়।

