জাতীয়

চীন থেকে আমদানি ৫০% বাড়লেও কিন্তু রপ্তানি স্থবির

বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি আমদানি করে চীন থেকে। ২০২১-২২ অর্থবছরে দেশটি ১ হাজার ৯৩৫ কোটি ডলারের পণ্য আমদানি করেছে, যা আগের অর্থবছরের তুলনায় প্রায় ৫০ শতাংশ বেশি। বাংলাদেশের মোট আমদানির ২৩.৪৬ শতাংশ এসেছে চীন থেকে। তবে দেশে রপ্তানি হয়েছে মাত্র ৬৮ কোটি ডলার, যা মোট রপ্তানির ১ দশমিক ৩১ শতাংশ। আগের অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট রপ্তানির ১ দশমিক ৭৫ শতাংশ ছিল চীনে।

চীনের সঙ্গে বিপুল বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর উপায় নির্ধারণে গতকাল বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে বৈঠক হয়েছে। সেখানে বাংলাদেশ ব্যাংক ও বাংলাদেশ-চীন চেম্বারের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে জানানো হয়, বাংলাদেশ ব্যাংক চীনা মুদ্রায় আমদানি-রপ্তানির সুযোগ দিলেও বেশিরভাগ ব্যাংক ইউয়ানে এলসি খুলতে চায় না। চীনে শুল্কমুক্ত সুবিধা এবং দেশে বাংলাদেশি পণ্যের প্রচারে সমস্যা তুলে ধরা হয়।

বৈঠকে চীনের সঙ্গে বাণিজ্য পরিস্থিতির পাঁচ বছরের তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরে বাংলাদেশ ব্যাংক। ২০২১-২২ অর্থবছরে বাংলাদেশ ৮ হাজার ২৫ কোটি ডলারের পণ্য আমদানি করেছে।

২০২১-২২ অর্থবছরে বাংলাদেশের রপ্তানি ৫,২০৮ কোটি ডলারের মধ্যে চীন থেকে এসেছে মাত্র ৬৮৩.৪ কোটি ডলার। ২০২০-২১ অর্থবছরে তিন হাজার ৮৭৬ কোটি  ডলারের মধ্যে যেখানে চীনে রপ্তানি হয়েছে ৬৮৭ কোটি  ডলার। গত অর্থবছরে চীনে রপ্তানি বেড়েছে মাত্র ৭ কোটি ডলার। গত অর্থবছরে দেশের সামগ্রিক রফতানিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১ হাজার ৩২২ কোটি ডলার বা ৩৪ দশমিক ৩৮ শতাংশ।

বাংলাদেশ ব্যাংক গত ১৫ সেপ্টেম্বর এক নির্দেশনার মাধ্যমে চীনা মুদ্রা ইউয়ানে এলসি খোলার অনুমতি দেয়। এর আগে, বাংলাদেশ ব্যাংকে ২০১৮ থেকে ক্লিয়ারিং অ্যাকাউন্ট খোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। তবে, বেশিরভাগ ব্যাংক চীনা মুদ্রায় এলসি খুলতে আগ্রহী নয়।

মন্তব্য করুন