• বাংলা
  • English
  • জাতীয়

    চিটাগাং কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটির নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ: ফলাফল বাতিলের দাবি

    দি চিটাগাং কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটি লিমিটেডের সাম্প্রতিক নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গুরুতর অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। গত ২২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচনে সহ-সভাপতি ও কোষাধ্যক্ষ পদপ্রার্থীরা নির্বাচন প্রক্রিয়া ও ফলাফলের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তারা মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) জেলা সমবায় কর্মকর্তার কাছে পৃথক দুটি আবেদন জমা দিয়েছেন।

    সহ-সভাপতি পদপ্রার্থী ডা. গোলাম কাদের চৌধুরী অভিযোগ করেছেন, নির্বাচন ছিল ‘অবৈধ ও ত্রুটিপূর্ণ’। তিনি নির্বাচনের ব্যালট পেপারসহ সকল নথিপত্র জব্দ করার আবেদন জানিয়েছেন, যাতে সুষ্ঠু তদন্তে কোনো বিঘ্ন না ঘটে। তার আশঙ্কা, অন্যথায় ব্যালট পেপার এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র নষ্ট করা হতে পারে।

    অন্যদিকে, কোষাধ্যক্ষ পদপ্রার্থী মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম চৌধুরী সমবায় আইনের ৫০ ধারার অধীনে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আবেদন করেছেন। তার অভিযোগের বলা হয়: তালিকায় মৃত ব্যক্তি এবং অযোগ্য ব্যক্তিদের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যা নিয়মের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।

    সমবায় বিধিমালা ২০০৪-এর একাধিক ধারা লঙ্ঘনের অভিযোগ রয়েছে। নির্বাচনী ফলাফল অনুমোদনের জন্য বিশেষ সাধারণ সভা আহ্বান করা হয়নি। এছাড়াও, অযোগ্য প্রার্থীরা নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। ভোটকেন্দ্রে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) যাচাই ছাড়াই ভোট দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়েছে।

    নির্বাচনে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগকারী মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম চৌধুরীর দাবি, ভোটকেন্দ্রে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের প্রচারণার সুযোগ দেওয়া হয়েছে, যা নির্বাচনী আচরণবিধির স্পষ্ট লঙ্ঘন।

    ভোট কারচুপির অভিযোগও করেন মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম চৌধুরী। তিনি জানান, ব্যালটের মুড়িপত্রে টিপসইয়ের মাধ্যমে ভোট প্রদান করা হয়েছে, যা নির্বাচন প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করে তুলেছে।

    শহিদুল ইসলাম চৌধুরী তার আবেদনে কোষাধ্যক্ষ পদের ফলাফল বাতিল করে পুনরায় নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন। তিনি আরও অভিযোগ করেছেন, নির্বাচন চলাকালীন ও গণনাকালে বিভিন্ন অনিয়ম পরিলক্ষিত হওয়ায় তিনি নির্বাচন কমিটির সভাপতির কাছে প্রতিকার চেয়েও পাননি।

    আবেদনপত্রে, শহিদুল ইসলাম চৌধুরী নির্বাচন কমিটি এবং অন্তর্বর্তী ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যদের বিবাদী করেছেন। এছাড়াও প্রতিদ্বন্দ্বী কোষাধ্যক্ষ পদপ্রার্থী ডা. মো. তৈয়ব সিকদারকেও মোকাবেলা বিবাদী করা হয়েছে।

    এই অভিযোগগুলির বিষয়ে চট্টগ্রাম জেলা সমবায় কর্মকর্তা মোসলেহ উদ্দিন বলেন, আবেদন পেয়েছি। বিষয়টি আইনগত প্রক্রিয়ায় তদন্ত করা হবে। প্রমাণিত হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    সুত্রঃ একুশে পত্রিকা।