জাতীয়

চট্টগ্রাম বন্দরে ট্রাক-ট্রেলার প্রবেশ নিষিদ্ধ

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ভারী যানবাহনের প্রবেশ ফি চার গুণের বেশি বৃদ্ধি করার প্রতিবাদে পরিবহন অপারেটররা সকল ধরণের কন্টেইনার এবং পণ্যবাহী যানবাহন প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে। আজ শনিবার (১৮ অক্টোবর) সকাল থেকে বন্দর এলাকায় ভারী যানবাহন প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না।
পরিবহন মালিক ও শ্রমিক সংগঠনগুলি জানিয়েছেন যে, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের নিরাপত্তা বিভাগ গত ১৩ অক্টোবর একটি অফিস আদেশ (নং ২২৩/২৫) জারি করেছে। সেই আদেশ অনুসারে, প্রতিটি ভারী যানবাহনের জন্য নতুন প্রবেশ ফি ২০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর সাথে ১৫ শতাংশ মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) যোগ করা হলে মোট ফি দাঁড়ায় ২৩০ টাকা। এই ফি আগে ছিল মাত্র ৫৭.৫০ টাকা।
পরিবহন সংগঠনগুলির অভিযোগ, মূল স্টেকহোল্ডারদের সাথে কোনও আলোচনা বা পরামর্শ ছাড়াই ‘জোরপূর্বক’ এই বর্ধিত ফি আরোপ করা হয়েছে।
এর আগে, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এক জরুরি বৈঠকের পর, তিনটি প্রধান সংগঠন – চট্টগ্রাম আন্তঃজেলা পণ্য পরিবহন সমিতি, চট্টগ্রাম ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়ন এবং প্রাইম মুভার ও ফ্ল্যাটবেড মালিক সমিতি – একটি যৌথ বিবৃতি জারি করে।
সংগঠনগুলি বিবৃতিতে বলেছে, “বন্দরের পণ্য পরিবহন কার্যক্রমের প্রায় ৮৫ শতাংশ আমরা পরিচালনা করি। এত গুরুত্বপূর্ণ ও বড় পরিবর্তনের আগে প্রধান অংশীদার হিসেবে আমাদের সাথে পরামর্শ করা অপরিহার্য ছিল। আমরা এর আগেও প্রতিবাদ জানিয়ে ফি প্রত্যাহারের অনুরোধ জানিয়েছি, কিন্তু বন্দর কর্তৃপক্ষ কোনও পদক্ষেপ নেয়নি।”
গত বৃহস্পতিবারের সভায় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, বর্ধিত ফি প্রত্যাহারের দাবিতে শনিবার সকাল ৬টা থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্দরে সকল ধরণের যানবাহনের প্রবেশ ‘সাময়িকভাবে স্থগিত’ রাখা হবে। সংগঠনগুলির নেতারা তাদের সদস্যদের এবং সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষকে এই সিদ্ধান্ত কঠোরভাবে মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছেন।
এদিকে, বন্দর ব্যবহারকারীরা প্রাইম মুভার মালিকদের স্বেচ্ছাসেবী ধর্মঘট নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তারা আশঙ্কা করছেন যে, এই অচলাবস্থা অব্যাহত থাকলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে। তাই, পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক করার জন্য তারা অংশীদারদের আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়েছেন।