• বাংলা
  • English
  • বিবিধ

    চট্টগ্রাম উপনির্বাচন।ভোটার বৃদ্ধির জন্য প্রার্থী নয় কমিশন দায়ী: ইসি আনিছুর।সব কেন্দ্রে সিসিটিভি ক্যামেরা থাকবে

    নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি বাড়ানোর দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের নয় বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আনিসুর রহমান। তিনি বলেন, ‘ভোটার বাড়াতে প্রার্থীদের প্রচারণা ও তৎপরতা থাকতে হবে। এ জন্য তাদের নানা উদ্যোগ নিতে হবে। জাতীয় সংসদ নির্বাচন আর কয়েক মাস বাকি। এদিকে উপনির্বাচন চলছে। এ কারণে হয়তো ভোটার উপস্থিতি কমছে। ঢাকা-১৭ আসনে ১১ দশমিক ৫ শতাংশ ভোটার। তবে ভোটারদের উপস্থিতির ভিত্তিতে আমরা ফলাফল ঘোষণা করব। অতীতেও করেছি, ভবিষ্যতেও করব।

    রোববার বিকেলে চট্টগ্রাম-১০ আসনের উপনির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, “অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনই আমাদের মূল লক্ষ্য। এই উপ-নির্বাচনের পরিবেশ এখন পর্যন্ত খুবই ভালো। প্রার্থীরা তাদের নিজস্ব সুন্দর ও উৎসবমুখর পরিবেশে প্রচারণা চালাচ্ছেন। আগামী ৩০ জুলাই চট্টগ্রাম-১০ উপনির্বাচনের সব কেন্দ্রে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হবে।

    নির্বাচন কমিশনার আনিচুর রহমান বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আমরা কোনো অভিযোগ পাইনি। এটা অবশ্যই ইতিবাচক। আমরা বিশ্বাস করি এবারের উপনির্বাচন সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও উৎসবমুখর হবে। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে সব কেন্দ্রে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হবে। এ ব্যাপারে সবাইকে সতর্কতার সাথে দায়িত্ব পালনের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। রাজনৈতিক কর্মসূচির কারণে এক প্রার্থীর প্রধান কার্যালয়ে হামলা হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে মামলা করা হয়েছে। বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। কোনো ঘটনাকে অবমূল্যায়ন করা উচিত নয়। কারণ একটি ছোট ঘটনা অনেক সময় বড় ঘটনার জন্ম দিতে পারে।

    নির্বাচনে প্রার্থীদের ওপর হামলার বিষয়ে তিনি বলেন, সম্প্রতি ঢাকা-১৭ উপনির্বাচন শেষ হওয়ার কিছুক্ষণ আগে এক প্রার্থীর ওপর হামলা হয়েছে। এটি একটি নিন্দনীয় কাজ যা অনাকাঙ্ক্ষিত। এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। যারা এসব ঘটনা ঘটাচ্ছে তারা কারো উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য নাকি দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার জন্য করছে তা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে।

    ভোট ডাকাতির কোনো সুযোগ নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, ইভিএমে একজনের ভোট অন্যকে দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আগে ভোট ডাকাত নামে একটা শব্দ ছিল। কিন্তু এখন সেটাও নেই। চলতি নির্বাচনে ভোটার ছাড়া অন্য কারো ভোটকেন্দ্রে প্রবেশের সুযোগ নেই। কেউ কেন্দ্রে না এসে ঘরে বসে অভিযোগ করলে আমাদের কিছু করার নেই। এখন প্রতিটি কেন্দ্রে সিসিটিভি ক্যামেরা রয়েছে। ভোটের দিন সকাল থেকেই কেন্দ্রের বাইরের সব দৃশ্য সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ করা হয়।

    আনিচুর রহমান বলেন, আমরা এখনো কোনো দলকে নিবন্ধন দেইনি। মাঠ পর্যায় থেকে সমস্ত তথ্য সহ, আমরা বলেছি যে শুধুমাত্র দুটি দল নিবন্ধনের জন্য যোগ্যতা অর্জন করেছে। তাদের বিষয়ে কোনো আপত্তি থাকলে ২৬ জুলাইয়ের মধ্যে জানাতে বলেছি। এরপর নিবন্ধনের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে কমিশন।