চট্টগ্রামে যুবদলের দুই পক্ষের সংঘর্ষ, নিহত ১
চট্টগ্রাম শহরের বাকলিয়া এলাকায় যুবদলের দুই পক্ষের সংঘর্ষ ও বন্দুকযুদ্ধে সাজ্জাদ (২২) নামে এক যুবক নিহত এবং ১৫ জন আহত হয়েছেন। গতকাল সোমবার (২৭ অক্টোবর) রাত ২টার দিকে বাকলিয়া অ্যাক্সেস রোডের বগার বিলমুখ এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও দলীয় সূত্র জানিয়েছে, ব্যানার ছিঁড়ে ফেলাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। নিহত সাজ্জাদ নগর যুবদলের বিলুপ্ত কমিটির বহিষ্কৃত সাংগঠনিক সম্পাদক এমদাদুল হক বাদশার অনুসারী ছিলেন। অন্য পক্ষটি নগর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি গাজী সিরাজ উল্লাহর অনুসারী ছিলেন।
বাকলিয়া থানার ওসি ইখতিয়ার উদ্দিন আমাদেরকে জানান, ব্যানার ছিঁড়ে ফেলাকে কেন্দ্র করে ঘটনাটি শুরু হয়েছে। গুলিবিদ্ধ হয়ে একজন নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চলছে। দলীয় সূত্র জানায়, রাতে সিরাজের অনুসারী বোরহান উদ্দিন ও নজরুল ইসলাম সোহেল এমদাদুলের অনুসারী যুবদল কর্মী জসিমকে তুলে নিয়ে যায়। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
জসিম সাংবাদিকদের বলেন, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও সাবেক নগর বিএনপির সভাপতি শাহাদাত হোসেন তার ছবি ব্যবহার করে লাগানো ‘সন্ত্রাসী-চাঁদাবাজ’ ব্যানারটি সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দিয়েছেন। আমি ব্যানারগুলো সরিয়ে ফেলেছি। এর মধ্যে শাহাদাত ও সিরাজের ছবিসহ বোরহানের ব্যানারও ছিল। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে বোরহানরা আমাকে তুলে নিয়ে যায় এবং মারধর করে।
জসিমের গ্রেপ্তারের খবর ছড়িয়ে পড়লে এমদাদুলের অনুসারীরা তাকে উদ্ধার করতে গেলে উভয় পক্ষের মধ্যে গুলিবিনিময় শুরু হয়। এ সময় সাজ্জাদ গুলিবিদ্ধ হন। পরে তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এমদাদুল হক বাদশা বলেন, মেয়র শাহাদাতের নির্দেশে ব্যানারটি সরিয়ে ফেলায় বোরহানরা জসিমকে তুলে নিয়ে যায়। পরে, আমরা যখন তাদের ছেড়ে দিতে যাই, তখন তারা গুলি চালায়। নিহত সাজ্জাদের মা ফরিদা বেগম বলেন, “তুমি আমার ছেলেকে কেন গুলি করলে? আমি চাই তার খুনিদের বিচার হোক।” নিহতের ভাই মোহাম্মদ ইমরান বলেন, “আমার ভাই ছাত্রদলের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিল। আমি চাই তার খুনিদের ফাঁসি হোক।”

