চট্টগ্রামে একটি চারতলা ভবন হেলে পড়েছে
চট্টগ্রামে জলাবদ্ধতা নিরসনে খাল খনন করতে গিয়ে চারতলা ভবন ধসে পড়েছে। বুধবার সকালে নগরীর পাঁচলাইশ থানার ষোলশহর রেলস্টেশনের কাছে ফেরদৌস প্লাজা নামের ভবনটি হেলে পড়ে। আশেপাশের কয়েকটি একতলা ভবনের দেয়ালেও ফাটল দেখা গেছে।
বুধবার বিকেলে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, চশমা খালে জলাবদ্ধতা নিরসনে কাজ করছে সিডিএ। খালের রিটেনিং ওয়াল নির্মাণে চার মিটার গভীর লোহার স্ল্যাব বসানো হয়েছে। খাল সংলগ্ন চারতলা ভবনের নাম ফেরদৌস প্লাজা। খাল সম্প্রসারণের জন্য ইতিমধ্যে ভবনটির একাংশ ভেঙে ফেলা হয়েছে। মঙ্গলবার অন্য অংশও খালের দিকে হেলে পড়েছে। ভবনের ভাড়াটিয়ারা আতঙ্কে তাদের আসবাবপত্র সরিয়ে নিচ্ছেন। পুলিশ লোকজনকে উচ্ছেদ করছে।
ভবনের নিচতলায় একজন ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান, দ্বিতীয় তলায় ডেন্টিস্টের চেম্বার, তৃতীয় তলায় একটি আইটি ফার্ম এবং চতুর্থ তলায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের অফিস।
আইটি ফার্ম এরেবুর স্বত্বাধিকারী সদরুল কবির রিয়াদ বলেন, “খালের প্রাচীরের কাজ চললেও কোনো সতর্কবার্তা বা ঘোষণা দেওয়া হয়নি। আগে নোটিশ দিলে প্রস্তুতি নিতে পারতাম। গত মঙ্গলবার।বুধবার সকালে স্থানীয় এক দোকানদারের কাছ থেকে খবর পেলাম।প্রতিষ্ঠানে ১৮টি কম্পিউটার আছে।চেয়ার-টেবিল আছে।বিভিন্ন জিনিসপত্র আছে।এসব নিয়ে হঠাৎ কোথায় যাব বুঝতে পারছি না।
ভবন মালিক খোরশেদ আলম বলেন, ‘এটি আমাদের পারিবারিক ভবন। নকশা অনুমোদন ১০৮৬ সালে নেওয়া হয়েছিল। ১৯৯০ সালে চারতলা ভবনটি সোয়া দুই কাঠার উপর নির্মিত হয়েছিল।
তিনি বলেন, ‘বন্যা ত্রাণ প্রকল্পের কাজে ১০ দিন ধরে তাদের ভবনের একটি অংশ ভেঙে ফেলা হয়েছে। এখন যা আছে তাও হেলে গেছে। ফায়ার সার্ভিসের নির্দেশনা অনুযায়ী ভবনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
জানতে চাইলে সিডিএর অনুমোদিত কর্মকর্তা প্রকৌশলী মোহাম্মদ হাসান বলেন, ভবন হেলে যাওয়ার খবর শুনেছি। ঘটনাস্থলে সিডিএর লোকজন পাঠানো হচ্ছে।’
এর আগে, ২০২১ সালের ২০ ডিসেম্বর রাতে নগরীর মাদারবাড়ি এলাকায় বন্যা ত্রাণ প্রকল্পের সময় খালের পাশের দুটি ভবন, একটি মন্দির ও একটি মাটির ঘর হেলে পড়ে।