• বাংলা
  • English
  • জাতীয়

    চট্টগ্রামে আজ উদ্বোধন হতে যাচ্ছে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে

    বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল উদ্বোধনের পর বন্দরনগরী চট্টগ্রামে খুলছে আরেকটি স্বপ্নের নতুন দুয়ার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) ভিডিও কনফারেন্সে এই প্রকল্পসহ চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) তিনটি প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন। ঢাকা থেকে কার্যত সংযুক্ত পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত থেকে নগরীর টাইগারপাস পর্যন্ত দীর্ঘ এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধন করবেন তিনি। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রয়াত মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর নামে এই এক্সপ্রেসওয়ের নামকরণ করা হয়েছে।

    এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নামকরণ করা হয়েছে ‘মেয়র মহিউদ্দিন চৌধুরী সিডিএ ফ্লাইওভার’। প্রধান এক্সপ্রেসওয়ের দৈর্ঘ্য ১৫.১১ কিমি। এটি একটি সাড়ে ১৬ মিটার চওড়া চার লেনের রাস্তা। উদ্বোধনের পর এক্সপ্রেসওয়েতে দুই থেকে তিন ঘণ্টা যানবাহন চলাচল করতে পারবে। তবে যান চলাচল শুরুর জন্য আরও দুই মাস অপেক্ষা করতে হবে বলে জানিয়েছেন প্রকল্পের কর্মকর্তারা।

    নগরীর টাইগারপাস থেকে লালখানবাজার পর্যন্ত (এক কিলোমিটারের একটু বেশি) প্রধান সড়কের বাকি অংশ নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার পর আগামী মাসের শেষের দিকে বা জানুয়ারির শুরুর দিকে প্রধান এক্সপ্রেসওয়েতে যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে।

    সরকারপ্রধান আজ এক্সপ্রেসওয়েসহ ১১টি প্রতিষ্ঠানের মোট ১৭টি প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন। একই সঙ্গে দুটি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হবে।

    চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, সকাল ১০টায় জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে যোগাযোগ করা হবে। এতে চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার মোঃ তোফায়েল ইসলাম, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি, চট্টগ্রামের পুলিশ সুপারসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন।

    জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উমর ফারুক জানান, প্রধানমন্ত্রীর কর্মসূচি সফল করতে সোমবার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সব সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে অনুষ্ঠানের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।

    চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী আজ যেসব প্রকল্প উদ্বোধন করবেন তার মধ্যে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরের দুটি বাস্তবায়নাধীন রয়েছে। এর মধ্যে নির্বাচিত বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের উন্নয়ন ও নির্বাচিত বেসরকারি মাদ্রাসার উন্নয়ন নামে মোট ১০টি প্রতিষ্ঠানের উদ্বোধন করা হয়।

    গণপূর্ত বিভাগ কর্তৃক বাস্তবায়িত দুটি প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে আগ্রাবাদের সিজিএস কলোনিতে ১১টি জরাজীর্ণ ভবনের জায়গায় ৯টি বহুতল আবাসিক ভবনে সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য ৬৮৪টি ফ্ল্যাট নির্মাণ এবং চট্টগ্রাম শহরের পরিত্যক্ত বাড়িতে সরকারি আবাসিক ফ্ল্যাট ও ডরমেটরি ভবন নির্মাণ। .

    স্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের একটি প্রকল্প রয়েছে। এটি চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা প্রকল্প। এই প্রকল্পের আওতায় ২৭টি ভবন অবকাঠামো নির্মাণ প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করা হবে।

    সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন নির্মাণ নামে একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। এই প্রকল্পের আওতায় ৮০টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন উদ্বোধন করা হবে। এছাড়া সমাজসেবা অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়িত চট্টগ্রাম জেলা সমাজসেবা কমপ্লেক্স নির্মাণ প্রকল্প রয়েছে।

    গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানি লিমিটেড (জিটিসিএল) কর্তৃক বাস্তবায়িত চারটি প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে- মহেশখালী জিরো পয়েন্ট (কালাদিয়ার চর) সিটিএমএস (ধলঘাট পাড়া) গ্যাস ট্রান্সমিশন পাইপলাইন নির্মাণ, মহেশখালী থেকে আনোয়ারা গ্যাস ট্রান্সমিশন প্যারালাল পাইপলাইন, আনোয়ারা থেকে ফৌজদারহাট গ্যাস ট্রান্সমিশন পাইপলাইন এবং চিটাগাঁওয়ে গ্যাস ট্রান্সমিশন পাইপলাইন নির্মাণ। . -বাখরাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিশন সমান্তরাল পাইপলাইন নির্মাণ প্রকল্প।

    স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে মিরসরাই উপজেলার মিঠানালা ইউনিয়নে আমান উল্লাহ ভূঁইয়া কমিউনিটি ক্লিনিক নির্মাণ।

    কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (কেজিডিসিএল) দ্বারা বাস্তবায়িত প্রকল্পগুলির মধ্যে রয়েছে মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চলের জন্য গ্যাস পাইপলাইন নির্মাণ এবং কেজিডিসিএল গ্যাস বিতরণ নেটওয়ার্ক আপগ্রেডেশন প্রকল্প।

    এছাড়া সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার জাতীয় মহাসড়কের (N-1) ২৫২ তম কিমি মুরালী খালের উপর ১২১ মিটার ভেল্লাপাড়া সেতু নির্মাণ প্রকল্প রয়েছে।