জাতীয়

চট্টগ্রামে আক্রান্ত শতভাগ শিশুর দেহে ডেল্টা ভেরিয়েন্ট: গবেষণা

চট্টগ্রামে করোনায় আক্রান্ত শতভাগ শিশুর দেহে মিলেছে ‘ভয়াবহ’ ভারতীয় ডেল্টা ভেরিয়েন্ট, যাদের বেশির ভাগই দশ বছরের কম বয়সী। মাত্র ৮ মাস বয়সীর শরীরে পাওয়া গেছে ভারতীয় ডেল্টা ভেরিয়েন্ট ।

যেসব শিশু এসেছিল চট্টগ্রামের করোনার বিশেষায়িত জেনারেল হাসপাতাল এবং চট্টগ্রামের বিশেষায়িত মা ও শিশু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল তাদের নিয়ে পরিচালিত গবেষণায় এই তথ্য উঠে এসেছে। শিশুদের করোনার জিনোম সিকোয়েন্স নিয়ে তিনটি সংস্থার ১০ জন গবেষক এই গবেষণাটি পরিচালনা করেন।

শিশুদের উপর পরিচালিত এই গবেষনায় ৫০ শতাংশ ছেলে এবং ৫০ শতাংশ মেয়ে শিশু ভারতীয় ধরণের উপস্থিতি চিহ্নিত করা হয়েছে। নমুনা সংগ্রহ করা ৯৫ শতাংশ শিশুদের মধ্যে জ্বরের লক্ষণ ছিল।

চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল করোনার ইউনিটের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এই গবেষণার নেতৃত্ব দেন। এইচ এম হামিদুল্লাহ মেহেদী, ডাঃ আবদুর রব মাসুম, চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল, মাইক্রোবায়োলজি বিভাগ। সঞ্জয় কান্তি বিশ্বাস ও ডাঃ নাহিদ সুলতানা। গবেষণা কাজের সামগ্রিক পরিকল্পনাটি ছিল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং ও বায়োটেকনোলজি বিভাগে। শিক্ষক ড.আদনান মান্নান।

গবেষক ডঃ সঞ্জয় কান্তি বিশ্বাস বলেন, গত জুন থেকে চট্টগ্রামে করোনায় শিশু আক্রান্তের হার বহুগুণ বেড়েছে। শিশু সংক্রমণের হার হঠাৎ করে বৃদ্ধির কারণ খুঁজে বের করতে গিয়ে গবেষনায় মূলত ভেরিয়েন্টের কারণেই এটি অত্যন্ত উদ্বেগের বিষয়।

চট্টগ্রামের শিশু বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. মুসলিম উদ্দিন সবুজ বলেন, “চট্টগ্রামে জ্বরে আক্রান্ত শিশুদের সংখ্যা আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে। করোনার বিভিন্ন লক্ষণ কিছু শিশুদের জ্বরের মতো। চেম্বারে চিকিৎসার জন্য প্রতিদিন আসা ৪০ জনের মধ্যে ৩০ জন জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছে। পরিবারের একাধিক শিশুও জ্বরে ভুগছেন। লক্ষণগুলি সহ আরও বেশ কয়েকটি শিশু করোনার জন্য পজিটিভ। বিষয়টি অত্যন্ত উদ্বেগজনক। জ্বর হওয়ার সাথে সাথে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ানো যাবে না।

মন্তব্য করুন