গ্রীক দ্বীপপুঞ্জ জুড়ে দাবানল ছড়িয়ে পড়েছে, ৩ জন নিহত
এক সপ্তাহ ধরে জ্বলছে গ্রীক দ্বীপপুঞ্জ। মঙ্গলবার প্রথমবারের মতো প্রাণ হারিয়েছেন তিনজন। তাদের মধ্যে দুই পাইলট আগুনের সঙ্গে লড়াই করতে গিয়ে বিমান দুর্ঘটনায় মারা যান। আরেকজন, পশুপালক।
টেলিভিশন ফুটেজে দেখা গেছে একটি বিমান এথেন্সের পূর্বে ইভিয়া দ্বীপে দাবানলের সঙ্গে লড়াই করছে। আগুনে জল ঢালছে। এরপর বিমানটি পাহাড়ের ধারে বিধ্বস্ত হয় এবং বিস্ফোরিত হয়। বিমান বাহিনীর মতে, ৩৪ ও ২৭ বছর বয়সী দুই পাইলট নিহত হয়েছেন।
রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারকারী ইআরটি অনুসারে, ৪১ বছর বয়সী একজন পশুপালক গত রবিবার থেকে নিখোঁজ রয়েছেন। ইভিয়ার প্রত্যন্ত এলাকায় একটি খুপরি থেকে তার পোড়া লাশ পাওয়া যায়।
বিমানটি পাহাড়ের ধারে বিধ্বস্ত হয় এবং বিস্ফোরিত হয়।
ঘরবাড়ি আগুনে পুড়ে যাচ্ছে। পর্যটকদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী কিরিয়াকোস মিৎসোটাকিস সামনে কঠিন দিনগুলোর বিষয়ে সতর্ক করেছেন।
তুরস্ক এবং স্লোভাকিয়ার বাহিনীর সহায়তায় শত শত অগ্নিনির্বাপক কর্মী ১৯ জুলাই থেকে রোডস, কর্ফু এবং ইভিয়াতে ছড়িয়ে পড়া দাবানল নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। তীব্র তাপ ও বাতাসের কারণে তারা আগুন নিয়ন্ত্রণে লড়াই করছে। পর্যটকদের জরুরি ভিত্তিতে আকাশপথে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।
বৃহস্পতিবারের পর পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মিৎসোটাকিস। আমরা আগুনের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছি। সামনে ভয়াবহ সময়ের মুখোমুখি হতে চলেছে গোটা বিশ্ব। বিশেষ করে জলবায়ু পরিবর্তন হট-স্পট ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চল, যার কোন জাদুকরী প্রতিরক্ষা নেই।
মঙ্গলবার প্রকাশিত বিজ্ঞানীদের মূল্যায়ন অনুসারে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে, এই মাসে উত্তর আমেরিকা, দক্ষিণ ইউরোপ এবং চীনে একটি শক্তিশালী তাপপ্রবাহ থাকবে। আজ বুধবার পর্যন্ত গ্রীসের কিছু এলাকায় তাপমাত্রা ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে যেতে পারে।