গ্রহাণুতে খোঁড়াখুঁড়ির ছাপ
চাঁদে মানুষের পায়ের ছাপ রেখে এসেছে অনেক আগেই। একাধিক ল্যান্ডার এবং রোভারের চাকাগুলি লাল গ্রহ মঙ্গলকে ছাপিয়ে যাচ্ছে। উপগ্রহ এবং গ্রহের নমুনা সংগ্রহের জন্য বিভিন্ন জায়গায় চিহ্ন রেখে গেছে। মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসার প্রচেষ্টার কারণে এবারও গ্রহাণুর গায়েও খোঁড়াখুঁড়ির ছাপ পড়েছে।এবং প্রথম সাক্ষী হলেন ‘বেনু’। গ্রহাণুটি পৃথিবী থেকে ২৯.৩ কোটি কিলোমিটার দূরে ১৯৯৯ সালে খোজ মেলে। কার্ব সমৃদ্ধ গ্রহাণুর নমুনা সংগ্রহের জন্য নাসা মহাকাশযানটি ওসিরিস-রেক্স প্রেরণ করেছে। খনন থেকে ফেরার সময় ইতোমধ্যে মহাকাশযানটি রেখে যাওয়া চিহ্নগুলির ছবি তুলেছে। গ্রহগুলির মতো, গ্রহাণুগুলি সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে। তবে এগুলি আকারে অনেক ছোট। বড় শিলার মতো। প্রায় ৩০ শতাংশ সূর্যের আলো পৃথিবী থেকে প্রতিবিম্বিত হয়। মাত্র চার শতাংশ বেনু থেকে। সুতরাং এটি দেখতে খুব কঠিন। ওসিরিস-রেক্স ২০২০ সালের ২০ অক্টোবর সেখানে খনন করে এক কেজি পাথর-ধুলার নমুনা সংগ্রহ করে; যা ২০২৩ সালে পৃথিবীতে আসবে। খননের আগে মহাকাশযানটি নাসা দ্বারা ২০১৯ সালের ৭ই মার্চ ও পরে ২০২১ সালের ৭ই এপ্রিল খননস্হলের ছবি তুলে নাসার পাঠানো মহাকাশযান,ছায়া পরে যাতে দৃষ্টিবিভ্রম না ঘটায় । তার জন্য ছবিগুলি দুপুরের দিকে তোলা হয়েছিল।