গুলি হত্যা বন্ধের দাবিতে গণতন্ত্র মঞ্চের সমাবেশ
রাজনৈতিক সভা-সমাবেশে বাধা, হামলা, দমন-পীড়ন, গুলি ও হত্যাকাণ্ড বন্ধের দাবিতে সমাবেশ করেছে গণতন্ত্র মঞ্চ। শুক্রবার বিকেলে শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি এ এস এম আবদুর রব, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, জনঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নুর, ভাসানী আনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ হাসিনা প্রমুখ। রফিকুল ইসলাম বাবলু ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম।
এ.এস.এম.আব্দুর রব বলেন, “দেশে এক ভয়ানক অন্যায়ের সংস্কৃতি শুরু হয়েছে। বহু বছর অতিবাহিত হলেও কক্সবাজারের রামুর সাম্প্রদায়িক হামলার বিচার হয়নি। সরকার সারা দেশে ফ্যাসিবাদী শাসন প্রতিষ্ঠা করেছে। জনগণের অধিকার। এর বিরুদ্ধে লড়াই করে প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, সরকার সব বিরোধী দলকে ধ্বংস করতে চায়। বিএনপিও নিশ্চিহ্ন করতে চেয়েছিল, কিন্তু পারেনি। সরকার ভয় দেখিয়ে আন্দোলন থামাতে পারবে না। তাই পূর্ণ বিজয় না আসা পর্যন্ত লড়াই চলবে। অন্তর্বর্তী সরকারকে ক্ষমতা দিয়ে নির্বাচন করতে হবে।
নুরুল হক নূর বলেন, এই সরকার (আওয়ামী লীগ) জাতিকে ধ্বংস করেছে। তারা বিরোধী সমাবেশে লাঠিসোঁটা ও রামদা দিয়ে হামলা চালিয়ে পতন ঠেকানোর চেষ্টা করছে, কিন্তু এসব করে কোনো লাভ নেই।
হাসনাত কাইয়ুম বলেন, ‘জনগণ আন্দোলন করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার তৈরি করেছে। এই সরকার (আওয়ামী লীগ) তা বাতিল করেছে। এই ফ্যাসিবাদী সরকারের বিরুদ্ধে গণআন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। মানুষকে তাদের রক্ত দিয়ে এ জাতি ও দেশকে বাঁচাতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে জোনায়েদ সাকি বলেন, ইতিহাস সাক্ষী- মিছিলে গুলি চালিয়ে কেউ ক্ষমতায় থাকতে পারেনি। আওয়ামী লীগ সরকারও পারবে না। এই সমাবেশ থেকে স্পষ্ট যে, এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন হবে না, পদত্যাগ করতে হবে। অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। এই লড়াই জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াই।
গণসংহতি মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ছানোয়ার হোসেন তালুকদার, গণতন্ত্র মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সার, নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক বহ্নি শিখা জামালী, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনৈতিক কাউন্সিল সদস্য আবুল হাসান রুবেল, গণসংহতি আন্দোলনের নির্বাহী সমন্বয়ক আবুল হাসান প্রমুখ। খান, গণঅধিকার পরিষদের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ভাসানী প্রমুখ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন। আখতার হোসেন, আনসারী পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক হাসিব উদ্দিন হোসেন, রাজ্য সংস্কার আন্দোলনের কেন্দ্রীয় প্রচার সমন্বয়কারী ও ঢাকা মহানগরের নেতৃবৃন্দ কামাল উদ্দিন পাটোয়ারী, জাকির হোসেন তুহিন, আবুল কালাম আজাদ, আলিফ দেওয়ান, ডা. ফরাজী, হান্নান আহমেদ খান বাবলু, সাধনা মহল প্রমুখ র্যালি পরিচালনা করেন ভাসানী আনুসারী পরিষদের সদস্য সচিব হাবিবুর রহমান রিজু।