• বাংলা
  • English
  • জাতীয়

    গুরুদাসপুরে বঙ্গবন্ধু টেকনিক্যাল ১৮ ঘন্টা পর শক্তিশালী বোমাটি নিষ্ক্রিয় করা হলো

    নাটোরের গুরুদাসপুরে ‘গভর্নমেন্ট বঙ্গবন্ধু টেকনিক্যাল সায়েন্স অ্যান্ড ইনফরমেশন টেকনোলজি অ্যান্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউট’-এর অধ্যক্ষের অফিস কক্ষের সামনে রাখা শক্তিশালী বোমাটি নিষ্ক্রিয় করেছে ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট। শনিবার সকাল থেকে কলেজ ঘেরাও করে দুপুর সাড়ে ১২টায় এই অভিযান শেষ হয়।

    এর আগে শনিবার দুপুর ২টার দিকে র‌্যাব-৫ (রাজশাহী) এর বোমা নিষ্ক্রিয়করণ ইউনিট এসে পরীক্ষা করে বোমার উপস্থিতি নিশ্চিত করে। তবে তাদের কাছে বোমা নিষ্ক্রিয়করণের সরঞ্জাম না থাকায় রাত সাড়ে ১০টার দিকে ডিএমপির একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশ সদর দফতরকে অবহিত করে বোমা নিষ্ক্রিয়করণ অভিযান শুরু করে।

    থানা, কলেজ কর্তৃপক্ষ ও র‌্যাব জানায়, গুরুদাসপুর শহরের সরকারি বঙ্গবন্ধু কারিগরি বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি ও বিজনেস ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ সাইদুল ইসলামের দরজার কাছে কেউ একটি প্লাস্টিকের ব্যাগে মোড়ানো লাগেজ ফেলে যায়। তাতে লেখা ছিল ‘অধ্যক্ষ, বঙ্গবন্ধু কলেজ, গুরুদাসপুর-আম্রপালি ৩০ কেজি’। সকাল সাড়ে নয়টার দিকে প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ সাইদুল ইসলাম কলেজে এসে ব্যাগটি দেখতে পান। ব্যাগ নিয়ে সন্দেহ হলে পুলিশকে জানানো হয়। সকাল ৯টা থেকে কলেজে পুলিশ মোতায়েন করে র‌্যাবের বোমা নিষ্ক্রিয়করণ ইউনিটকে জানানো হয়। পরে দুপুর ২টার দিকে র‌্যাবের বোমা নিষ্ক্রিয়করণ ইউনিট এসে সেখানে বোমা থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করে।

    ডিএমপির কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের পুলিশ পরিদর্শক মো. শফিউদ্দিন শেখ বলেন, “প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছিল এটি একটি শক্তিশালী বোমা। বোমা নিষ্ক্রিয়কারী ডিভাইসের সাহায্যে সেটি নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে। তিনি বলেন, “বোমাটি একটি সুটকেসের ভেতরে রাখা ছিল। এর মধ্যে তিনটি ককটেল সদৃশ বস্তু, তিনটি পেট্রোল বোমা ও প্লাস্টিকের বয়ামে রাসায়নিক পদার্থ ছিল। আড়াই ঘণ্টা চেষ্টার পর বোমাটি নিষ্ক্রিয় করা হয়।

    সিংহরা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আকতারুজ্জামান ও গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনোয়ারুজ্জামান জানান, রাত সাড়ে ১০টার দিকে ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট বোমাটি নিষ্ক্রিয় করতে অভিযান শুরু করে। রাত সাড়ে ১২টার দিকে বোমাটি নিষ্ক্রিয় করা হয়। কলেজে পার্সেলের ভিতরে কে বোমাটি রেখেছিল তা নিয়ে গভীরভাবে তদন্ত করা হচ্ছে।

    অধ্যক্ষ সাইদুল ইসলাম বলেন, কলেজটিতে দীর্ঘদিন ধরে একটি পক্ষের সঙ্গে মামলা-মোকদ্দমা চলছিল। এ বিরোধের জেরে সম্প্রতি প্রতিপক্ষরা তাকে ও কলেজকে উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়।