• বাংলা
  • English
  • জাতীয়

    গাজীপুরে ফুল দেওয়াকে কেন্দ্র করে প্রতিমন্ত্রীর সামনে ছাত্রলীগের হাতাহাতি

    গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল। অনুষ্ঠান শেষে তিনি বের হলে প্রতিমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানাতে এগিয়ে আসেন ‘সন্ধানী’ নামের একটি সংগঠনের নেতারা।

    এ সময় শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আল আমিনের শরীরে কেউ আঘাত করে। এই নিয়েই তোলপাড় শুরু হয়। শেষ পর্যন্ত মন্ত্রীর সামনেই দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। পরে মেডিকেলের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র আতিকুল্লাহ নকিবকে বেধড়ক মারধর করা হয়।

    শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোঃ আব্দুল কাদের বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও বাংলাদেশের সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে সপ্তাহব্যাপী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও ইনডোর গেমসের আয়োজন করা হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল। অনুষ্ঠান চলাকালীন সময় বাঁচানোর জন্য, ফুলের শুভেচ্ছা কার্যক্রম বাতিল করা হয়েছিল।

    তিনি বলেন, ‘সভাপতি হিসেবে আমি অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করছি। প্রতিমন্ত্রী মঞ্চ থেকে বের হওয়ার সময় সন্ধ্যা নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরা ফুল দিয়ে তার কাছে আসেন। এ সময় আল আমিনের শরীরে কারও সঙ্গে ধাক্কা লাগে। আল-আমিন দীর্ঘদিন মেডিকেল কলেজ শাখার সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। তবে এ কমিটির সভাপতি বা অন্য কোনো পদ নেই। এ নিয়ে শুরু হয় সংঘর্ষ। ছাত্রলীগ নেতা আল আমিনের আচরণে ক্ষুব্ধ প্রতিমন্ত্রী। প্রতিমন্ত্রী চলে যাওয়ার পর আল আমিন বিদেশিদের নিয়ে আসেন। দ্বিতীয় রাউন্ডে চতুর্থ বর্ষের ছাত্র আতিকুল্লাহ নকিবকে প্রচণ্ড মারধর করা হয়। এ সময় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী ও বহিরাগতরা বিক্ষোভ শুরু করে।

    শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ছাত্রলীগ শাখার সাধারণ সম্পাদক আল-আমিন বলেন, কলেজের একটি মহল দীর্ঘদিন ধরে তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে আসছিল। মেডিকেল কলেজ শাখার একমাত্র ছাত্র তিনি। সভাপতি নেই, সাংগঠনিক সম্পাদক নেই।

    তিনি বলেন, আমরা প্রতিমন্ত্রীকে ফুল দিতে এসেছি। একই ফুল দিতে আসেন সন্ধ্যানীর সদস্যরা। এ সময় আতিকুল্লাহ নকিব নামের এক ছাত্র সন্ধ্যানীর সদস্যদের নিয়ে ফুল দিতে এগিয়ে যান। আমার শরীর ধাক্কা দেয়।

    তিনি বলেন, একজন জুনিয়র শিক্ষার্থীর এমন আচরণ গ্রহণযোগ্য নয়। এরপর বিষয়টি মাথায় আসে।

    তিনি দাবি করেন, রাত ৯টার দিকে তারা আমার ওপর হামলা চালায়।

    গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সৈয়দ রাফিউল করিম জানান, ঘটনার পর অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিবেশ শান্ত।

    এর আগে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ প্রফেসর ডাঃ মোঃ আব্দুল কাদেরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক এসএম তারিকুল ইসলাম, শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক তপন কান্তি সরকার, মেডিকেল কলেজ শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ডা. মুশফিকুর রহমান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

    মন্তব্য করুন