গাজার ক্ষুধার্ত নারী, পুরুষ এবং শিশুরা মৃত্যুকে উপেক্ষা করে খাবারের জন্য লড়াই করছে
গাজার ক্ষুধার্ত নারী, পুরুষ এবং শিশুরা মৃত্যুকে উপেক্ষা করে খাবারের জন্য লড়াই করছে। কারণ হলো, ইসরায়েলি বাহিনী ফিলিস্তিনিদের ত্রাণ নিতে গেলেই ‘রাশিয়ান রুলেট গেম’-এর মতো একের পর এক গুলি করে হত্যা করে। প্রশ্ন উঠছে—যদি যুদ্ধবিরতি গাজার ত্রাণ সংকটের সমাধান না করে? এই সংকটের কারণেই হামাস প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতিতে পরিবর্তন চেয়েছে, যাতে সাহায্য প্রবেশ করতে পারে এবং ইসরায়েল-মার্কিন-সমর্থিত ‘গাজা হিউম্যানিটেরিয়ান ফাউন্ডেশন’ (GHF) বন্ধ করে দেওয়া হয়—যার দরজা দিয়ে ইসরায়েল প্রতিদিন সাহায্য পাওয়ার অপেক্ষায় থাকা মানুষদের হত্যা করে। গত মার্চে ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি ভঙ্গ করার পর থেকে, গাজার মানুষ এই ভয়ে বাস করছে যে কখন উত্তর গাজা সহ বিভিন্ন এলাকায় বোমাবর্ষণ কম হবে এবং কখন রাস্তা খোলা থাকবে। গাজা এখন ক্ষুধা, ভয় এবং মৃত্যুর অন্ধকার জগতে পরিণত হয়েছে। মানুষ জানে যে ট্রাকের কাছে গেলে তারা মারা যেতে পারে, কিন্তু তারা এখনও যায়—কারণ ক্ষুধায় মারা যাওয়ার চেয়ে লড়াই করে মারা যাওয়া ভালো। তবে, গাজার জনগণের আর কতটা কষ্ট এবং ধৈর্য বাকি আছে? বিশ্ব কখন গাজার জনগণের দিকে তাকাবে? কখন স্থায়ী যুদ্ধবিরতি হবে?