গাজায় যুদ্ধবিরতির জন্য ট্রাম্পের নতুন পরিকল্পনা

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতির জন্য একটি নতুন পরিকল্পনা উপস্থাপন করেছেন। ২১ দফা সম্বলিত এই পরিকল্পনাটি গত মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় নিউইয়র্কে আরব ও মুসলিম নেতাদের কাছে উপস্থাপন করা হয়েছে। সিএনএন জানিয়েছে। গত বুধবার মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ এই তথ্য ঘোষণা করেছেন। গত মঙ্গলবার আরব নেতাদের সাথে ট্রাম্পের বৈঠকে তিনি এবং ট্রাম্প প্রশাসনের বেশ কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে উইটকফ বলেন, “আমাদের আলোচনা খুবই ফলপ্রসূ হয়েছে। বৈঠকে গাজায় যুদ্ধবিরতির জন্য প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ২১ দফা পরিকল্পনা আরব নেতাদের কাছে উপস্থাপন করা হয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি যে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে একদিকে গাজায় সহিংসতা বন্ধ হবে, অন্যদিকে ইসরায়েল এবং তার সমস্ত প্রতিবেশীদের উদ্বেগ দূর হবে।
“আমরা আশা করি এবং আমি আত্মবিশ্বাসী যে আগামী কয়েক দিনের মধ্যে আমরা কোনও অগ্রগতি ঘোষণা করতে সক্ষম হব।”
ট্রাম্পের ২১ দফা পরিকল্পনার কিছু বিষয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। যেমন গাজায় আটক সকল জিম্মির তাৎক্ষণিক মুক্তি, গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতি, হামাস ও হামাসের প্রভাব থেকে গাজা প্রশাসনের মুক্তি এবং গাজা থেকে ইসরায়েলি সেনাদের পর্যায়ক্রমে প্রত্যাহার।
সিএনএন ট্রাম্পের সাথে আরব ও মুসলিম নেতাদের বৈঠকে উপস্থিত বেশ কয়েকজন মার্কিন ও মধ্যপ্রাচ্যের কূটনীতিকের সাথেও যোগাযোগ করেছে। তারা বলেছেন যে, আরব নেতারা ট্রাম্পের পরিকল্পনাকে সমর্থন করেছেন। তারা আরও কয়েকটি বিষয় যোগ করার পরামর্শ দিয়েছেন। সেগুলো হল: পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি দখলদারিত্বের অবসান, বর্তমান স্থিতাবস্থা বজায় রাখা জেরুজালেম, গাজায় যুদ্ধের অবসান এবং সেখানে আটক সকল ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি, গাজায় অবাধে ত্রাণ প্রবেশের অনুমতি দেওয়া ইত্যাদি।
বৈঠকে উপস্থিত একজন কূটনীতিক সিএনএনকে বলেন, “আমাদের একটি চমৎকার এবং অত্যন্ত কার্যকর বৈঠক হয়েছে।”
প্রসঙ্গত, গত সোমবার জাতিসংঘের সদর দপ্তরে ফিলিস্তিনকে একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য একটি বিশ্বব্যাপী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সম্মেলনের প্রধান আয়োজক ছিল ফ্রান্স এবং সৌদি আরব। সেই সম্মেলনের প্রেক্ষাপটে ডোনাল্ড ট্রাম্প আরব নেতাদের সাথে সাক্ষাৎ করেন।