গাইবান্ধা উপনির্বাচনে অনিয়মের তদন্তে ৬৮৫ জনকে তলব করা হয়েছে
গাইবান্ধা-৫ (ফুলছড়ি-সাঘাটা) আসনের উপনির্বাচনে বিভিন্ন অনিয়মের তদন্তে মঙ্গলবার শুনানি শুরু হচ্ছে। এ পর্যন্ত মাঠ প্রশাসন, ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাসহ মোট ৬৮৫ জনকে তলব করেছে কমিটি। গাইবান্ধা সার্কিট হাউসে প্রথম দিনে ১৩৬ জনের বক্তৃতা শুনবে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) তিন সদস্যের কমিটি।
তদন্ত কমিটির সদস্য সচিব শাহেদুন্নবী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। মঙ্গলবার গাইবান্ধা সার্কিট হাউসে ১১ জন প্রিজাইডিং অফিসার, ৬৬ জন সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার, ৫৫ জন পোলিং এজেন্ট, জেলা নির্বাচন অফিসার আব্দুল মোত্তালিব, ফুলছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার উপস্থিত ছিলেন বলে জানা গেছে। আলাউদ্দিন, উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আব্দুল সোবাহান, ওসি কাওছার আলীসহ ১৩৬ জন শুনানি করবেন।
বুধবার সাঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সভাকক্ষে ৪০ জন প্রিজাইডিং অফিসার, ২৭৮ সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার, ২০০ পোলিং এজেন্ট, সহকারী রিটার্নিং অফিসার, সাঘাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার সরদার মোস্তফা শাহীন, উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও ওসি মতিউর রহমানের উপস্থিতিতে শুনানি হবে। আর বৃহস্পতিবার গাইবান্ধা সার্কিট হাউসে প্রতিদ্বন্দ্বী পাঁচ প্রার্থী, ১৭ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, বিজিবি ও র্যাবের দুই কমান্ডিং অফিসার, রিটার্নিং অফিসার সাইফুল ইসলাম, পুলিশ সুপার মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, জেলা প্রশাসক অলিউর রহমানসহ ২৭ জনের বিরুদ্ধে নোটিশে শুনানি হবে। .
গত ১২ অক্টোবর গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু একপর্যায়ে ব্যাপক অনিয়মের সত্যতা জানতে পেরে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল ভোট গ্রহণ বন্ধ করে দেন। তিনি নির্বাচন ভবনে বসে সিসি ক্যামেরায় ভোট পর্যবেক্ষণ করে নির্বাচন স্থগিত করেন।
পরে উপনির্বাচনে ‘বুথে ডাকাতি’ ও ভোট বাতিলের ঘটনা খতিয়ে দেখতে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করতে নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি কমিটি করে ইসি। কমিটির সদস্যরা হলেন যুগ্ম সম্পাদক কামাল উদ্দিন বিশ্বাস ও শাহেদুন্নবী চৌধুরী। কমিটিকে সাত কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।