গত ৫ আগস্ট যাত্রাবাড়ী থানা থেকে উদ্ধার হওয়া লাশটি নূরনবীর নামে এক আনসার সদস্যের
শিক্ষার্থীদের বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে গত ৫ আগস্ট যাত্রাবাড়ী থানায় নিহত ব্যক্তির পরিচয় পাওয়া গেছে। নূরনবী (৪৭) নামে ওই ব্যাটালিয়ন আনসারে কর্মরত ছিলেন। সোমবার সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ডিএমএইচ) হাসপাতাল মর্গ থেকে তার স্ত্রী ফাতেমা তুজ জোহরা ও ছেলে তাজনূর সিফাতের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করেছে পুলিশ।
নিহতের স্ত্রী নূরানী জানান, তাদের বাড়ি নোয়াখালী সদর উপজেলার পূর্বশ্বদিয়া গ্রামে। নূরনবীর বাবার নাম আব্দুর রব। তার স্বামী ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ ব্যাটালিয়নে কর্মরত ছিলেন। ১৯ জুলাই তাকে গাজীপুরের সফিপুরে বদলি করা হয় এবং ২ আগস্ট তাকে যাত্রাবাড়ী থানায় দায়িত্ব দেওয়া হয়। গত ৫ আগস্ট পরিবারের পক্ষ থেকে তার সঙ্গে একবার কথা হয়। এরপর থেকে তাকে আর পাওয়া যায়নি।
ফাতেমা তুজ জোহরা আরও বলেন, “ঢামেক হাসপাতালে গিয়ে নুরনবীর লাশ শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। তার লাশ বিকৃত করা হয়েছে। পরিচয় নিশ্চিত করতে আমার ও আমার ছেলের ডিএনএ নমুনা নেওয়া হয়েছে। ডিএনএ পরীক্ষা নিশ্চিত করার পর পুলিশ লাশ শনাক্ত করেছে।
যাত্রাবাড়ী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোরশেদ আলী জানান, আনসার ব্যাটালিয়নের সদস্য নূরনবীকে ৭ আগস্ট সকাল ৭টার দিকে যাত্রাবাড়ী থানা থেকে উদ্ধার করে রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স হাসপাতালে নিয়ে গেলে স্থানীয় চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃত সেখান থেকে মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়েছে। লাশের সাথে আনসার সদস্য নূরনবীর স্বজনদের ডিএনএ নমুনা মিলে যাওয়ায় সোমবার সন্ধ্যায় ঢামেক মর্গ থেকে তার লাশ হস্তান্তর করা হয়।