• বাংলা
  • English
  • রাজনীতি

    গণতন্ত্রের জন্য বিএনপি আবারও মাঠে নামতে পারে: গয়েশ্বর

    বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, “আন্দোলন শেষ হয়নি, সবেমাত্র সরকার পরিবর্তন হয়েছে। গণতন্ত্রের জন্য আবারো মাঠে নামতে হতে পারে, এর জন্য আমাদের প্রস্তুতি নিতে হবে। কারণ, দেশীয় মহল এখন ষড়যন্ত্র করছে। বিদেশী চেনাশোনা।”

    বুধবার রাজধানীর কাকরাইলে ডিপ্লোমা ইনস্টিটিউশনে জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

    গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠায় বিএনপি ও সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোর ১৬ বছরের আন্দোলনকে হাইজ্যাক করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেন গয়েশ্বর। তিনি বলেন, “অন্তবর্তীকালীন সরকার আমাদের আন্দোলনের কথা স্বীকার করে না। তারা মাত্র ৫-৬ জনের কথা বলে, শুধু জুলাইয়ের আন্দোলনের কথা। তাহলে বাকিরা কোথায়?” তবে এ সরকার ব্যর্থ হলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে বিএনপি বলে উল্লেখ করেন গয়েশ্বর।

    তিনি বলেন, ‘আন্দোলনের ফল সবাই ভোগ করতে পারে না, হাতে গোনা কয়েকজনই পায়।’ তিনি আরও অভিযোগ করেন, অন্তর্বর্তী সরকারের কেউ কেউ বিএনপির চেয়ে অন্য দলকে বেশি গুরুত্ব দিতে চাইছেন। গয়েশ্বর বলেন, ‘অরাজনীতিকরণের প্রক্রিয়া এখনও চলছে, এই সরকারের অভিজ্ঞতার অভাব রয়েছে।’

    অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘আমি ভেবেছিলাম ১৫ আগস্টের গণজাগরণের পর শেখ হাসিনাকে প্রস্থান দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু পুলিশ অফিসাররা কীভাবে পালিয়ে গেল? তাদের কাছে প্রচুর অবৈধ অর্থ ছিল। আমি যতদূর জানি, এই টাকা বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা হয়নি।’ আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপি ও নেতাদের দেশ ছেড়ে পালাতে কারা সাহায্য করেছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন গয়েশ্বর।

    ভারতের উদ্দেশে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘কয়েক লাখ ভারতীয় নাগরিক বাংলাদেশে বৈধ-অবৈধভাবে চাকরি ও ব্যবসা করছেন। বাংলাদেশ অবৈধদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে। আমি ভারতকে বলব, আপনি বাংলাদেশি নাগরিকদের ভিসা দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন, এটা চালিয়ে যান। সব মিলিয়ে কয়েকদিন পরই বুঝতে পারবেন কত ধান আর কত চালে আপনার অর্থনীতি দাঁড়াতে যাচ্ছে।’

    এ সময় গয়েশ্বর অবৈধ ভারতীয়দের নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।

    ভারতের সঙ্গে সাম্প্রতিক উন্নয়নের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ভারত আমাদের পানি-ভাতে হারাতে পারবে না; তারা নিজেরাই মারা যাবে। ভারতে না গেলে দেশের শত শত কোটি টাকা সাশ্রয় হবে। তাই ভিসা বন্ধ করতে ভারতকে স্বাগত জানাই।’

    রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার ইনস্টিটিউশনে কৃষকদলের সভাপতি হাসান জারিফ তুহিনের সভাপতিত্বে ও কৃষকদলের সভাপতি অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেলসহ কৃষকদলের কেন্দ্রীয় ও মহানগর নেতারা বক্তব্য রাখেন। সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুলের নির্দেশনায় মো. এর আগে সকালে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন এবং তার রুহের মাগফেরাত কামনা করেন কৃষকদলের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী।

    Do Follow: greenbanglaonline24