খাশোগির হত্যার বিষয়টি সৌদি যুবরাজের অনুমোদনে হয়েছিল: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স এবং ডি-ফ্যাক্টো শাসক মোহাম্মদ বিন সালমান প্রবাসী সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যার অনুমতি দিয়েছেন। মার্কিন গোয়েন্দা তদন্তে এই তথ্য প্রকাশ পেয়েছে। বাইডেন প্রশাসন শুক্রবার মধ্যরাতে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে।
সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান খাশোগির গ্রেপ্তার বা হত্যার নির্দেশ দিয়েছেন বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। এই প্রথম মার্কিন সরকার সৌদি যুবরাজকে প্রকাশ্যে হত্যার অভিযোগ এনেছে। এর আগে মার্কিন গণমাধ্যমে এ জাতীয় প্রতিবেদন প্রকাশ করা হলেও সরকার সেগুলি গ্রহণ করেনি।
২০১৮ সালে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাসনে থাকা ওয়াশিংটন পোস্টের কলামিস্ট খাশোগগি তুরস্কের ইস্তাম্বুলে সৌদি কনস্যুলেটে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল। তাঁর মরদেহ টুকরো টুকরো করা হয়। তিনি ছিলেন সৌদি যুবরাজের তীব্র সমালোচক। এর আগে প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শুক্রবার জারি করা এক বিবৃতিতে এই অভিযোগগুলি অস্বীকার করে বলেন, “যুবরাজের কর্মকাণ্ড সম্পর্কিত অনুরূপ, ভিত্তিহীন অভিযোগ একাধিকবার করা হয়েছে।
শুক্রবার মার্কিন জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, “আমরা দেখেছি সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান ইস্তাম্বুলে সৌদি সাংবাদিক জামাল খাশোগিকে গ্রেপ্তার বা হত্যার জন্য একটি অভিযানের অনুমতি দিয়েছেন।”
এর আগে জাতিসংঘের একটি প্রতিবেদনে খাশোগি হত্যার জন্য সৌদি সরকারকে দোষ দেওয়া হয়।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সৌদি আরবে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে কড়া অবস্থান নিয়েছেন। তিনি দেশে অস্ত্র বিক্রয়ও সীমাবদ্ধ করতে চলেছেন। একই সাথে তিনি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে যুবরাজের পদ গ্রহণকারী মোহাম্মদ বিন সালমানের সাথে যোগাযোগ সীমাবদ্ধ করার উদ্যোগ নিয়েছেন।
এই পদ ছাড়ার পরে তিনি কী করবেন তা এই মুহূর্তে এখনও অজানা। তবে শেষ পর্যন্ত যুবরাজ এই ধাক্কা সামলাতে সক্ষম হলেও তার নেতৃত্বের জন্য দেশে এবং বিদেশে, বিশেষত মুসলিম বিশ্বে প্রশ্নবিদ্ধ হবে বলে ধারোনা করা হচ্ছে।