খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহসহ ১১ মামলার কার্যক্রম বাতিল
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের ১টি ও নাশকতার ১০টি মামলাসহ ১১টি মামলার কার্যক্রম বাতিল করেছে হাইকোর্ট।
মামলার কার্যক্রম বাতিল চেয়ে খালেদা জিয়ার করা পৃথক ১১টি আবেদনের চূড়ান্ত শুনানি শেষে বুধবার বিচারপতি একেএম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
আইনি সূত্র জানায়, ১১টি মামলার মধ্যে দারুস সালাম থানায় ৭টি, যাত্রাবাড়ী থানায় ৩টি এবং রাষ্ট্রদ্রোহের ১টি মামলা রয়েছে। এসব মামলায় জামিনে ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন ।
আইনজীবী জানান, খালেদা জিয়া ২০১৭ সালে ১১টি মামলার কার্যক্রমের বৈধতা নিয়ে পৃথক আবেদন করেন। ২০১৭ সালে, হাইকোর্ট প্রাথমিক শুনানির পাশাপাশি মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে। এ রুলের ওপর শুনানি শেষে আজ এ রায় দেওয়া হয়।
খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন ও এএম মাহবুব উদ্দিন খোকন, আইনজীবী কায়সার কামাল, জাকির হোসেন ভূঁইয়া, এইচএম সানজিদ সিদ্দিকী ও মাকসুদ উল্লাহ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. জসিম সরকার।
রায়ের পর জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন সাংবাদিকদের বলেন, আদালত ওই সব মামলার শুনানি শেষে রুল জারি করেছেন। এর মানে, মামলাগুলো খারিজ হয়ে গেছে। এসব মামলা আর নেই। একটি ছিল রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা। খালেদা জিয়াকে এখানে জড়ানো হয়েছিল। সরকারের অনুমতি ছাড়া রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করা যাবে না। এই মামলা করার জন্য সরকারের কোনো অনুমতি ছিল না। অনুমতি না পেয়েও খালেদা জিয়াকে মামলায় ফাঁসানো হয়। চার্জশিটও দেওয়া হয়। ওই রুলের শুনানি শেষে হাইকোর্ট এ মামলার কার্যক্রম বাতিল করেন। অর্থাৎ, খালেদা জিয়া আজ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এসব মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন।