• বাংলা
  • English
  • জাতীয়

    খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিতে হলে নতুন করে আবেদন করতে হবে: আইনমন্ত্রী

    সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বিদেশে উন্নত চিকিৎসার জন্য আবারও আবেদন করতে হবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

    বুধবার সকালে রাজধানীর ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন-ক্র্যাবের আয়োজিত অনুষ্ঠানে আইনমন্ত্রী বলেন, “আইন শর্তসাপেক্ষ, নিঃশর্ত। খালেদা জিয়ার আবেদন শর্তসাপেক্ষে নিষ্পত্তি করা হয়েছে। সরকারকে আইনের মধ্যে থেকে কাজ করতে হবে। অনেকে বলছেন, আবেদন পুনর্বিবেচনার পর খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানোর উদ্যোগ।কিন্তু সেই আবেদন নিষ্পত্তি করা হয়েছে।আমি বারবার বলেছি একটি আবেদন নিষ্পত্তি হয়েছে, আইন অনুযায়ী পুনর্বিবেচনার ক্ষমতা আমার নেই।

    দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বিশেষ শর্তে সাময়িকভাবে মুক্তি দিয়ে বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেওয়ার ‘কোন আইনি সুযোগ নেই’ বলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বিবৃতি পাঠিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়।

    আইনমন্ত্রী বলেন, তিনি (খালেদা জিয়া) সাজা ভোগ করার সময় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিশেষ শর্তে সাজা স্হগিত রেখে মুক্তি দেন।

    তিনি বলেন, ‘পুনরায় আবেদন করলে তা নিয়ে আলোচনা করা যেতে পারে। আমি এখানেও বলছি, সংসদেও বলেছি। এটি এমনও হতে পারে যে তিনি যদি তার সাজা শর্তসাপেক্ষে মুক্তি না দেন তবে তিনি আবার জেলে যেতে চান। কিন্তু এ ক্ষেত্রে ফৌজদারি কার্যবিধিতে এমন কোনো স্থান নেই যে আমরা আগের আবেদন বিবেচনা করে তাকে বিদেশে যাওয়ার সুযোগ দিতে পারি, তা নয়।

    ফৌজদারি কার্যবিধির আওতায় খালেদা জিয়াকে বিদেশে নেওয়ার সুযোগ রয়েছে দাবি করলেও আইনমন্ত্রী বলছেন, আইনে এমন কোনো সুযোগ নেই।

    “অনেকে বলে যে ফৌজদারি কার্যবিধির ধারা ৪০১ কাউকে বিদেশ যেতে বাধা দেয় না,” তিনি বলেন কিন্তু আমি কখনো বলিনি যে তাকে (খালেদা জিয়া) বিদেশে পাঠানো যাবে না। কিন্তু একবার আবেদন নিষ্পত্তি হয়ে গেলে, ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারায় পুনর্বিবেচনার সুযোগ নেই।

    আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, যে মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে সে মামলা আওয়ামী লীগ করেনি। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে মামলাটি করা হয়। ২০১২ সালে দুর্নীতি দমন কমিশন মামলাটি হয়েছে। মামলার বিচার চলাকালে তারা অন্তত দশবার হাইকোর্ট ও আপিল বিভাগে আপিল করেছেন। অনেকেই বিচারকদের প্রতি অবিশ্বাস প্রকাশ করেছেন। সর্বোপরি রায় দেওয়া হয়েছে। একটি মামলায় বিচারিক আদালতে সাজা বাড়িয়ে পাঁচ বছর করা হয়, হাইকোর্টে তা বাড়িয়ে ১০ বছর করা হয়। অপর একটি মামলায় খালেদা জিয়ার সাত বছরের সাজা হয়।

    রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে খালেদা জিয়ার ‘সুচিকিৎসার’ সব ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

    মন্তব্য করুন