কোরবানি।পশুর হাটে গোলাপি মহিষ!
কালো ছাড়া অন্য কোনো রঙের মহিষ বিরল। এবং অনেকে তাদের জীবনে একটিও গোলাপী মহিষ দেখেনি। তবে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার মইজ্জার্তে পশুর হাটে দুটি মহিষ আনা হয়েছে। গোলাপী দুটি প্রাণীকে এক নজর দেখার জন্য প্রতিদিন শত শত মানুষ ছুটে আসছে এই হাটে। সাড়া পড়েছে গোটা এলাকায়।
কোরবানির কথা মাথায় রেখে বছরখানেক আগে ভারত থেকে দুটি মহিষ নিয়ে আসেন ফেমাস এগ্রোর মালিক মীর সাইফু। প্রাণিসম্পদ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মহিষের রঙের পেছনের কারণ হলো জেনেটিক বিশেষ বৈশিষ্ট্য অ্যালবিনো। এ কারণে কোটিতে এমন মহিষ দেখা ভার। সারা বিশ্বে এই মহিষ বিলুপ্ত প্রায়। তবে এ ধরনের কিছু মহিষ এখনও প্রতিবেশী ভারতে পাওয়া যায়।
মীর সাইফু বলেন, দুটি মহিষের একটির ওজন ২০ মণ ও অন্যটির ১৫মণ। দুটি মহিষের দাম ১৫ লাখ টাকা। প্রতিদিন ক্রেতারা এলেও দাম বাড়ছে না ১০ লাখের বেশি। এ কারণে শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত বিক্রি করতে পারেননি তিনি। তবে দাম ১৫ লাখ টাকা হলেই বিক্রি করবেন তিনি। কারণ দুই পশুর খাবারের পেছনে তিনি প্রতিদিন অনেক টাকা খরচ করছেন।
গোলাপি মহিষ ছাড়াও আরও তিনটি বড় মহিষ বাজারে এনেছেন মীর সাইফু। এর মধ্যে একটির নাম দেওয়া হয়েছে পদ্মা সেতু। মীর সাইফু জানান, বিশালাকার মহিষটি প্রায় ৬ ফুট উঁচু ১০ফুট লম্বা প্রাণীটির ওজন ৩৫ মণ। কালো মহিষটি বেশ লম্বা বলে লোকে পদ্মা সেতু বলে। মহিষটির দাম ৯ লাখ টাকা। অন্য দুটি মহিষের ওজন ৪০মণ।
মইজ্জারটেক হাটের ব্যবস্থাপক শাহ আলম জানান, মীর সাইফুরের মহিষ দেখতে প্রতিদিনই ভিড় হচ্ছে। পশু বিক্রিতে কিছুটা সমস্যা হলেও মানুষের আগ্রহের কারণে তারা কোনো বাধা সৃষ্টি করছে না। হাটে আনা হয়েছে শতাধিক বড় থেকে মাঝারি আকারের গরু-মহিষ। দু-এক দিনের মধ্যে বিক্রি বাড়বে বলে আশা করছেন তিনি।
শুক্রবার মইজারটেক সিডিএ আবাসিক এলাকার গরুর হাটে গিয়ে দেখা গেছে, বৃষ্টির হাত থেকে পশু বাঁচাতে মাঠের সর্বত্র ট্রিপল রোপণ করা হয়েছে। একটি অস্থায়ী ইটের রাস্তা তৈরি করা হয়েছে। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পশু নিয়ে এসেছেন ব্যবসায়ীরা। তবে জনসমাগম খুব একটা ছিল না।
কর্ণফুলী থানার ওসি দুলাল মাহমুদ জানান, হাটের ভাড়াটিয়াদের হাটের ব্যবস্থাপনায় কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। প্রশাসন বাজার জুড়ে স্বাস্থ্যবিধি পালনের উপর কড়া নজর রাখবে।