• বাংলা
  • English
  • জাতীয়

    কেপিএম কাগজে ব্যালট পেপার ছাপানো  হবে

    জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে তৎপরতা শুরু করেছে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন। শিগগিরই তফসিল ঘোষণা করা হতে পারে। আর তফসিল ঘোষণার পরপরই শুরু হবে নির্বাচনী ডামাডোল। কিন্তু নির্বাচনের অন্যতম হাতিয়ার হলো ব্যালট পেপার। এবারের জাতীয় নির্বাচনে ব্যালট পেপার ছাপানোর জন্য কর্ণফুলী পেপার মিল থেকে নির্বাচন কমিশন এক হাজার ৬০০ মেট্রিক টন কাগজ সংগ্রহ করছে বলে জানা গেছে। কেপিএম ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যেই নির্বাচন কমিশনকে চাহিদা অনুযায়ী কাগজ সরবরাহ শুরু করেছে। কেপিএমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক একেএম আনিসুজ্জামান সোমবার বলেন, জাতীয় পরিষদ নির্বাচনে ব্যালট পেপার ছাপানোর জন্য নির্বাচন কমিশনের কাছে মোট ১৬০০ মেট্রিক টন সাদা, লাল ও সবুজ রঙের কাগজ চেয়েছে। এসব কাগজের মূল্য ২০ কোটি টাকা। কেপিএম কর্তৃপক্ষ সময়মতো নির্বাচন কমিশনকে কাগজপত্র সরবরাহ করতে দিনরাত কাজ করছে। কাগজ উৎপাদনের কাঁচামাল হিসেবে প্রয়োজনীয় মন্ডাও বিদেশ থেকে আনা হয়। তিনি আরও বলেন, কেপিএমে উৎপাদিত কাগজের মান খুবই ভালো ও টেকসই।

    কেপিএমের একটি দায়িত্বশীল সূত্রের মতে, নির্বাচন কমিশন কর্ণফুলী পেপার মিল থেকে কাগজ সংগ্রহ করছে কারণ এটি ৭৫ বছরের পুরানো কারখানা হওয়া সত্ত্বেও উচ্চমানের কাগজ তৈরি করতে পারে। যাইহোক, কেপিএম একবারে সমস্ত কাগজপত্র সরবরাহ করতে পারে না এমনকি নির্বাচন কমিশনও আপাতত সরবরাহ করা এই বিপুল পরিমাণ কাগজপত্র ব্যবহার করতে পারে না।

    তফসিল ঘোষণার পর তফসিল অনুযায়ী কারা প্রার্থী হবেন এবং কোন প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ করা হবে তার উপর নির্ভর করে ব্যালট পেপার ছাপানো হবে। তাই তফসিল ঘোষণার পর থেকেই নির্বাচন কমিশনে কাগজ বিতরণ পুরোদমে শুরু হবে। কেপিএমের মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) আবদুল্লাহ আর মাহমুদ বলেন, বিভিন্ন প্রতিকূলতার মধ্যেও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন কমিশনে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সরবরাহ করতে সর্বস্তরের কর্মী ও কর্মকর্তারা অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সব কাগজপত্র দেওয়া সম্ভব হবে বলেও জানান তিনি।

    কেপিএম সিবিএ সভাপতি আব্দুল রাজ্জাক ও সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন বলেন, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে ব্যালট পেপার ছাপানোর জন্য নির্বাচন কমিশন কর্ণফুলী পেপার মিল থেকে ১৬০০ মেট্রিক টন কাগজ দাবি করায় কারখানার সকল স্তরের শ্রমিক ও কর্মকর্তারা খুশি। সিবিএ নেতারা জানান, শুধু এবারই নয়, প্রতিবছরই জাতীয় নির্বাচন, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন, সিটি করপোরেশন নির্বাচন, পৌর নির্বাচনসহ দেশের প্রতিটি নির্বাচনে ব্যালট পেপার ছাপানোর জন্য কর্ণফুলী পেপার মিল থেকে প্রয়োজনীয় কাগজ সংগ্রহ করে আসছে নির্বাচন কমিশন।