কুয়েতে পাপুলের কারাদন্ড বাংলাদেশের জন্য লজ্জাজনক: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন মানব পাচারের জন্য কুয়েতে লক্ষ্মীপুরের সাংসদ শহীদ ইসলাম পাপুলের কারাদণ্ডকে বাংলাদেশের জন্য দুঃখজনক ও লজ্জাজনক বলে অভিহিত করেছেন।
পাপুলের সাজা দেওয়ার দুই দিন পর শনিবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এই মন্তব্য করেন। শনিবার সন্ধ্যায় রাজ্য অতিথি ভবন মেঘনায় প্রথম বঙ্গবন্ধু কূটনীতিক টেনিস টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আপনি জানেন তিনি আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ছিলেন না, তিনি স্বতন্ত্র ছিলেন। এটা খুবই দুঃখজনক. দেশের নাগরিকরা বিদেশে অপরাধে জড়িত থাকলে আমরা লজ্জা পাই। এটা আমাদের প্রত্যেকের জন্য লজ্জাজনক। তবে এই রায় সম্পর্কে কুয়েত সরকার এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে কোন মন্তব্য করেনি। শুনেছি সংবাদপত্রের মাধ্যমে তাঁর বিচার হয়েছে। আমাদের রাষ্ট্রদূতকে কুয়েত সরকারের অফিসিয়াল বক্তব্য জানার জন্য বলা হয়েছে। রাষ্ট্র জেনে থাকলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
মোমেন বলেন, “কুয়েতের সাথে আমাদের সম্পর্ক অনেক দৃ ড় এবং পুরনো।” বঙ্গবন্ধুর সময় থেকেই একটি ভাল সম্পর্ক। এই একটি ইভেন্টে আমাদের কোনও অভাব হবে না।
পাপুল, যিনি একজন সাধারণ কর্মী হিসাবে কুয়েতে গিয়েছিলেন এবং বিশাল অর্থসম্পদের মালিক হন, তিনি ২০১৮ সালে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়। তার স্ত্রী সেলিনা ইসলামকেও সংরক্ষিত আসনে সংসদ সদস্য হিসাবে নিয়ে এসেছিলেন। লক্ষ্মীপুর -৩ আসনের সংসদ সদস্য পাপুলকে গত বছরের ৬ জুন রাতে কুয়েতের মোশাররফ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। মারাফি কুয়েত কোম্পানির অন্যতম মালিক পাপুলের আবাসনের অনুমতি রয়েছে। পাঁচ বাংলাদেশি পাচারের অভিযোগের ভিত্তিতে কুয়েতের রাষ্ট্রপক্ষ পাপুলকে মানব পাচার, অর্থপাচার ও ব্যবসায়ী কর্মীদের শোষণের অভিযোগ এনেছে। তাদের তদন্তে পাপুলসহ নয় জনের বিরুদ্ধে অর্থ পাচার, মানব পাচার, ঘুষ এবং রাষ্ট্রীয় সুরক্ষা লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়। অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে গত বছরের ১৭ই সেপ্টেম্বর পাপুলের মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হয়।