কিশোরগঞ্জের দুই সাবেক রাষ্ট্রপতির ছেলের কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী নেই মনোনয়ন যুদ্ধে
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের ফরম বিক্রি শেষ হয়েছে। দলীয় কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, প্রতি আসনে গড়ে ১১টির বেশি ফরম বিক্রি হয়েছে। তবে, কয়েকটি নির্বাচনী এলাকায় ব্যতিক্রম রয়েছে, যেখানে মনোনয়ন ফরম বিক্রি হয়েছে একটি করে। এর মধ্যে রয়েছে কিশোরগঞ্জ-৪ (ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম) এবং কিশোরগঞ্জ-৬ (ভৈরব-কুলিয়ারচর) আসন।
প্রয়াত সাবেক রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের ছেলে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন কিশোরগঞ্জ-৬ আসনে মনোনয়ন ফরম কিনেছেন এবং নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের বড় ছেলে রেজওয়ান আহমেদ তৌফিক কিশোরগঞ্জ-৪ আসনে মনোনয়ন ফরম কিনেছেন। নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশায় এসব নেতার আসনে আর কোনো প্রার্থী ফরম সংগ্রহ করেননি।
ফরম সংগ্রহের পর সাবেক রাষ্ট্রপতির দুই ছেলেই তা পূরণ করে জমা দিয়েছেন।
২০০৯ সালে কিশোরগঞ্জ-৬ আসনের আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য জিল্লুর রহমান রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। উপনির্বাচনে তার ছেলে নাজমুল হাসান পাপন এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে তিনি আওয়ামী লীগের হয়ে এ আসনটি ধরে রেখেছেন।
২০১৩ সালে কিশোরগঞ্জ-৪ আসনের আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আবদুল হামিদ রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন, তার বড় ছেলে রেজওয়ান আহমেদ তৌফিক নৌকা প্রতীক নিয়ে উপনির্বাচনে এমপি নির্বাচিত হওয়ায় এখন পর্যন্ত এ আসনটিও আওয়ামী লীগের দখলে রয়েছে। শতবাগ হাওয়ার অধ্যুষিত এ আসনে এর আগে সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ সাতবারের এমপি ছিলেন।
মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) ছিল আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম বিক্রি ও জমার চতুর্থ ও শেষ দিন। অনুষ্ঠান শেষে দলের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া জানান, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে মোট ৩ হাজার ৩৬২টি ফরম বিক্রি হয়েছে। এসব ফরম বিক্রি থেকে আয় হয়েছে ১৬ কোটি ৮১ লাখ টাকা। তিনি আরও বলেন, অনলাইনে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন ১২১ জন।
বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ক্যাটাগরি অনুযায়ী মনোনয়ন ফরম সংগ্রহের জন্য আগেই বুথ নির্ধারণ করা হয়েছে। ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের জন্য দুটি করে এবং বাকি ছয়টি বিভাগের জন্য একটি করে মোট ১০টি বুথ ছিল। এসব বুথ থেকে প্রার্থীরা ফরম কিনেছেন।