কার্টুনিস্ট কিশোরের চোখ ও কানে অস্ত্রোপচার লাগবে
কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোরের কানের ও চোখের অবস্থা স্বাভাবিক হওয়ার জন্য অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হবে। চিকিৎসকরা কিশোরকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দেখে এই মতামত দিয়েছেন। তাই আগামী কয়েকদিনে তার পরিবার তার চোখ ও কানের অস্ত্রোপচারের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। রবিবার কিশোরের বড় ভাই লেখক ও সাংবাদিক আহসান কবির এনব তথ্য জানান।
আহসান কবির আরও বলেন, কিশোর কী কী সমস্যায় ভুগছেন তা খতিয়ে দেখার পরে চিকিৎসকরা কিশোরকে পরীক্ষা করেছেন। তার ডান কানের অবস্থা খুব খারাপ। চিকিৎসকরা বলেছেন যে অস্ত্রোপচার করা ছাড়া এটি ঠিক হবে না। চোখেরও অস্ত্রোপচার লাগবে।
আহসান কবির বলেন, ‘পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠতে আরও অনেক দিন হাসপাতালে থাকতে হবে কিশোরকে। একে একে আমরা সমস্ত অস্ত্রোপচার করব। তবে তার মানসিক অবস্থা আগের চেয়ে ভাল। বন্ধু এবং পরিচিতদের সাথে কথা বলার জন্য এটি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করা। তার ডায়াবেটিস এখন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। পায়ে এখনও সমস্যা আছে। তবে আপাতত পায়ে অস্ত্রোপচার দরকার হবে না।
বৃহস্পতিবার জামিনে মুক্তি পাওয়ার পরে কিশোর ঢাকার আইনজীবীর চেম্বারে বসে গণমাধ্যমের সাথে কথা বলে। এ সময় তিনি বলেন, ২০২০ সালের ২ মে বিকেলে তাকে কাকরাইলের বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। কে তাকে নিয়ে গেছে তা তিনি জানতে না পারলেও তিনি ৫ মে র্যাব হেফাজতে গিয়ে জানতে পারেন তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মাঝামাঝি সময়টুকু কোথায় ছিলেন তা তিনি জানেন না, তবুও অভিযোগ করেন যে ওই সময় তাকে বেশ কয়েকবার নির্যাতন করা হয়েছিল। তিনি বলেন কারাভোগের ১০ মাস ধরে উপযুক্ত চিকিৎসা পাননি।
গত বছরের ৫ মে র্যাবকার্টুনিস্ট কিশোর ও অনলাইন লেখক মোশতাক আহমেদকে গ্রেপ্তারের ঘোষণা দেয়। পরের দিন তাদের বিরুদ্ধে রমনা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তাআইনে ‘সরকারবিরোধী প্রচার ও গুজব ছড়াতে’ মামলা দায়ের করা হয়। এই মামলায় আরও দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে জামিনে মুক্তি পেলেও কিশোর ও মোশতাক জামিন পাননি। মোশতাক তার জামিন আবেদন ছয়বার প্রত্যাখ্যানের পরে ২৫ ফেব্রুয়ারি গাজীপুর হাই সিকিউরিটি কারাগারে মারা যান। এরপরে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু হয়। কিশোরকে ৩ মার্চ হাই কোর্ট জামিন মঞ্জুর করে পরের দিন তাকে কাশিমপুর -২ কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়।