• বাংলা
  • English
  • আন্তর্জাতিক

    কানাডা-মার্কিন সীমান্তে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আবার বাড়ানো হয়েছে

    কানাডা-মার্কিন সীমান্তে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরও এক মাস বাড়ানো হয়েছে। এই নিষেধাজ্ঞা ২১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-কানাডা সীমানা করোনার মহামারীর কারণে গত বছরের মার্চ মাসে ভ্রমণকারীদের কাছে প্রথম বন্ধ ছিল। সংক্রমণ সীমাবদ্ধ করতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়। তার পর থেকে প্রতি মাসে এই নিষেধাজ্ঞা বাড়ানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডু বলেছেন, সীমান্তের উভয় পার্শ্বে থাকা ক্যাভিড -১৯ থেকে মানুষকে নিরাপদে রাখার জন্য সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এটি কারণ কানাডা এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র উভয়ই সংক্রমণের সংখ্যা বাড়ছে। তিনি বলেন, “মহামারীর শুরু থেকেই আমাদের লক্ষ্য কানাডিয়ানদের স্বাস্থ্য রক্ষা করা,” তিনি বলেন। ভ্যাকসিন কেনা হোক বা কঠোর ভ্রমণের বিধিনিষেধ আরোপ করা হোক না কেন, আমাদের লক্ষ্য এক এবং তা হ’ল আপনাকে রক্ষা করা। পর্যটকদের সীমান্ত অতিক্রম করার অনুমতি নেই। তবে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রয়োজন হলে সীমান্ত পার হওয়ার সুযোগ রয়েছে। তদতিরিক্ত, উভয় দেশের নাগরিকরা ১৪ দিনের পৃথকীকরণের শর্তে বিশেষ ক্ষেত্রে সীমান্ত পেরিয়ে তাদের পরিবারের সাথে পুনর্মিলন করার সুযোগ পেয়েছেন। অন্যদিকে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট হিসাবে দায়িত্ব নেওয়ার প্রথম দিন জো বাইডেনের কার্যনির্বাহী আদেশের একটি সিদ্ধান্ত হ’ল কানাডার কীস্টোন পাইপলাইনের অনুমোদন বাতিল করার সিদ্ধান্ত। স্থানীয় কানাডিয়ান গণমাধ্যমে এই সিদ্ধান্ত প্রকাশের পর থেকেই কানাডিয়ানদের মধ্যে হৈ চৈ চলছে। কানাডিয়ানরা মনে করেন যে, এই সিদ্ধান্তের ফলে, কেবল আন্তর্জাতিক বাণিজ্য নয়, দু’দেশের সম্পর্কের উপরেও বিশাল প্রভাব ফেলবে। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বিশ্বাস করেন যে পাই বাইল সম্পর্কে জো বাইডেনের একতরফা সিদ্ধান্ত কানাডার রাজনীতিতে এক ধরণের অস্থিতিশীলতা তৈরি করবে, যা জাস্টিন ট্রুডোর সংখ্যালঘু সরকারকে ঘরোয়া রাজনীতিতে চাপে ফেলবে। মূল বিরোধী দল ইতিমধ্যে এই ঘোষণা দিয়েছে।

    মন্তব্য করুন