• বাংলা
  • English
  • বিবিধ

    কাকরাইল মসজিদে ২ সপ্তাহ অবস্থান করবেন সদাপন্থীরা

    তাবলিগী জামাত সমর্থকদের একটি অংশ আগামী দুই সপ্তাহের জন্য অবস্থান নিতে ঢাকার কাকরাইল মসজিদে জড়ো হয়েছে। শুক্রবার সকাল ৮টার পর তারা কাকরাইল মসজিদে প্রবেশ করে চুক্তির ভিত্তিতে জোবায়ের অনুসারীদের কাছ থেকে তাবলীগের অন্য অংশের ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব নেন।

    আজ সকাল থেকেই কাকরাইল মসজিদের দিকে দেশ-বিদেশ থেকে সাদাপন্থীরা আসতে শুরু করে। ঢাকার বিভিন্ন এলাকা দিয়ে হাজার হাজার কাকরাইল মসজিদের দিকে যেতে দেখা যায়। এর আগে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাকরাইল মসজিদ ও আশপাশের এলাকায় পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। তাবলিগ জামাতের উভয় পক্ষই চুক্তির ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে জুবায়ের অনুসারীরা কাকরাইল মসজিদে চার সপ্তাহ এবং জোবায়ের অনুসারীরা দুই সপ্তাহ থাকবেন। সেই অনুযায়ী গতকাল সদাপন্থীরা জড়ো হয়।

    গতকাল থেকে আগামী দুই সপ্তাহ কাকরাইল মসজিদে অবস্থান করবেন সাদাপন্থীরা। এদিন তারা কাকরাইল মসজিদে জুমার নামাজ আদায় করেন। সদাপন্থীদের জমায়েতের কারণে সকাল থেকেই মসজিদের আশপাশের রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় নিরাপত্তার কারণে রমনা ও প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের দিকে যাওয়ার রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়।

    রমনা জোনের ডিসি মো. মাসুদ আলম বলেন, এখন ডানপন্থীরা দুই সপ্তাহ মসজিদে অবস্থান করবে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির যাতে অবনতি না হয় সেজন্য অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

    কয়েক বছর ধরে তাবলিগ জামাতের মধ্যে যে বিবাদ চলে আসছে তা সম্প্রতি নতুন রূপ নিয়েছে। জুবায়েরবাদীদেরও স্যাডিস্টদের নিষিদ্ধের দাবিতে সরকারকে আল্টিমেটাম দিতে দেখা গেছে। এদিকে গতকাল সদাপন্থীদের ব্যাপক সমাবেশ দেখা গেছে।

    ১২ নভেম্বর, সাদ ধর্মপন্থীদের কাকরাইল মসজিদ এবং টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা মাঠে প্রবেশের অনুমতি দেওয়ার পর জুবায়েরের সমর্থকরা ২৪ ঘন্টার মধ্যে ঢাকার অচলাবস্থার সতর্কতা দেয়। গত ৫ নভেম্বর ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ‘ইসলামিক গ্র্যান্ড কনফারেন্স অব উলামা-মাশায়েখদের’ সাদপন্থীদের নিষিদ্ধসহ ৯ দফা দাবি জানিয়েছেন নিজেদের ‘শুরায়ে নিজাম’ বলে পরিচয় দেওয়া জুবায়ের পন্থীরা।

    দিল্লির মাওলানা সাদ কান্ধলভি এবং বাংলাদেশের কাকরাইল মারকাজের মাওলানা জুবায়ের আহমদের অনুসারীরা ২০১৯ সালে ছিটকে পড়েন। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষ দুবার বিশ্ব ইজতেমা করার সিদ্ধান্ত নেয়। তখন কোভিড মহামারীর কারণে ইজতেমা দুই বছর বন্ধ থাকে। পরবর্তীতে ২০২২ সাল থেকে আবারো দুই ধাপে ইজতেমার আয়োজন করা হয়।