• বাংলা
  • English
  • রাজনীতি

    কাউন্সিলর টিনু কারাগারে।ব্যবসায়ীকে তুলে নিয়ে মারধর ।

    চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল এলাকায় ফার্মেসির সামনে থেকে মেহেদী হাসান রাকিব নামের এক ব্যবসায়ীকে তুলে নিয়ে মারধর ও হত্যার অভিযোগে দায়ের করা একটি মামলায় চকবাজার ওয়ার্ড কাউন্সিলর নূর মোস্তফা টিনুকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

    মঙ্গলবার চট্টগ্রামের অতিরিক্ত মহানগর হাকিম সরকার হাসান শাহরিয়ার এ আদেশ দেন। এর আগে টিনু আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করলে বিচারক তা নাকচ করে দেন। নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (প্রসিকিউশন) হুমায়ুন কবির জানান, ব্যবসায়ী রাকিবের দায়ের করা মামলায় কাউন্সিলর টিনু আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করলে বিচারক তা নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

    গত ৪ মার্চ নগরীর পাঁচলাইশ থানায় চকবাজার এলাকার যুবলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ব্যবসায়ী মেহেদী হাসান রাকিব বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় অভিযোগ করা হয়, টিনু ও তার দবলল নিয়ে ছুরি দিয়ে জখম ও মারধর রাকিবের টাকা পয়সা ছিনতাই করে। মামলায় কাউন্সিলর নূর মোস্তফা টিনুসহ মোট ৬ জনকে আসামি করা হয়। অন্য আসামিরা হলেন- কায়সার হামিদ, সাকিবুল ইসলাম, রবিউল ইসলাম রাজু, মোঃ আজম ও মোঃ শাকিল।

    মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ৩ মার্চ রাতে রাকিব চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের পূর্ব গেটের পাশে ‘একুশে ড্রাগ হাউস’ নামের একটি ওষুধের দোকানে ছিলেন। কাউন্সিলর টিনু সেখানে থাকা রাকিবের বন্ধু অভিজিৎ সেন মিশুর ফোনে  রাকিবের সাথে কথা হয়। পূর্ব বিরোধের জেরে টিনু আমাকে ফোনে হুমকি দিতে থাকে। আমার অপরাধ কি জানতে চাইলে  বলেন সিটি করপোরেশনের গাড়িতে তুলে মামলা দিয়ে লকআপে রাখার হুমকি দেন। পরে রাত সাড়ে ৮টার দিকে টিনুর নির্দেশে মামলার অপর আসামি আরও ১০-১৫ জনকে নিয়ে ওষুধের দোকানে প্রবেশ করে। এ সময় তারা ছোরা নিয়ে দোকানে ঢুকে আমাকে মারধর শুরু করে। এক পর্যায়ে কায়সার হামিদ ছুরি দিয়ে আমার বাম হাতের কব্জিতে জখম করে। অপর আসামি সাকিবুল ইসলাম আমার প্যান্টের পকেট থেকে ১৫ হাজার টাকা নিয়ে নেন।

    রাকিব বলেন, এরপর আসামিরা আমাকে জোর করে টেনে মোটর সাইকেলে করে চকবাজার ওয়ার্ড অফিসে নিয়ে যায়। সেখানে অভিযুক্ত। আজম ও মোঃ শাকিল চড় মেরে তার চোখ ও মুখে জখম করে। একপর্যায়ে আসামি নূর মোস্তফা টিনু এ ঘটনা কাউকে জানালে আমাকে হত্যা ও মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দেয়।

    পরে স্থানীয়রা রাকিবকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় পরদিন পাঁচলাইশ থানায় মামলা করেন রাকিব।

    এ ঘটনার প্রতিবাদে রাকিবের রাজনৈতিক সহকর্মী ও অনুসারীরা পরদিন পাঁচলাইশ থানার সামনে প্রতিবাদ সমাবেশ করে, সেখানেও হামলা হয়। হামলায় কয়েকজন আহত হয়েছেন। ওই হামলার জন্য কাউন্সিলর নূর মোস্তফা টিনুকেও দায়ী করেন রাকিব। তিনি নগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় যুব ও ক্রীড়া উপ-কমিটির সদস্য নুরুল আজিম রনির অনুসারী হিসেবে পরিচিত।