জাতীয়

কলেজ কমিটির সাথে ঝগড়ার কারণে বাঘা যতীনের ভাস্কর্য ভাঙচুর: পুলিশ

কয়া মহাবিদ্যালয় কমিটির সাথে বিরোধের জের ধরে কুষ্টিয়ার কুমারখালিতে ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম পুরোধা বিপ্লবী বাঘা যতীনের ভাস্কর্য ভাঙচুর করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

শনিবার জেলা পুলিশ সুপার তানভীর আরাফাত জানিয়েছেন, কলেজ কমিটির বিরোধের কারণে যুবলীগ নেতা আনিসুর রহমানের নেতৃত্বে বিপ্লবী বাঘা যতীনের ভাস্কর্য ভাঙচুর করা হয়েছে। কলেজটির নৈশ্য প্রহরী খলিলুর রহমান গত বৃহস্পতিবার রাত ১ টায় ভাস্কর্যটি ভাঙচুর করার সময় এই ঘটনাটি দেখেছিলেন।

তিনি জানান, ভাস্কর্যটি ভাঙচুর করার জন্য নৈশ্য প্রহরী খলিলুরকে গ্রেপ্তার করার পর জিজ্ঞাসাবাদে তিনি এই তথ্য দিয়েছেন। পরে এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় যুবলীগ নেতা আনিসুর রহমান ও সবুজ হোসেন ও হৃদয়কে গ্রেপ্তার করা হয়।

বৃহস্পতিবার রাতে কোনও এক সময় ভাস্কর্যের নাক এবং ডান গালের কিছু অংশ ভেঙে যায়। শুক্রবার সকালে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। কয়া কলেজের অধ্যক্ষ হারুন অর রশিদ, কলেজ বোর্ডের সভাপতি অ্যাডভোকেট নিজামুল হক চুন্নু, নৈশ্য প্রহরী খলিলুর রহমান এবং কয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আনিসুর রহমানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।

উল্লেখ্য যে বিপ্লবী বাঘা যতীন মাত্র ৩৬ বছর বয়সে ১৯১৫ সালের ১০ সেপ্টেম্বর ব্রিটিশ পুলিশ বাহিনীর সঙ্গে সম্নুখযুদ্ধে নিহত হন। বাঘা যতীনের আবক্ষ ভাস্কর্যটি কয়েক বছর আগে কয়া গ্রামের কয়া কলেজে নির্মিত হয়েছিল।

এর আগে সরকার মুজিব বছর উপলক্ষে ঢাকার ধোলাইরপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর একটি বৃহত ভাস্কর্য স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছিল। তবে বিভিন্ন কওমি মাদ্রাসা কেন্দ্রিক সংগঠনের জোট হেফাজতে ইসলামের নেতারা এর বিরোধিতা করেছেন। এরপরে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাদার সংগঠন, লেখক-অধ্যাপক, শিল্পী-লেখকরা এর প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছিলেন।

এই সমস্ত ঘটনার মাঝে, ৪ ডিসেম্বর রাতে দুর্বৃত্তরা কুষ্টিয়া শহরের পাঁচ রাস্তার মোড়ে নির্মাণাধীন একটি ভাস্কর্যের ডান হাত, পুরো মুখ এবং বাম হাতের অংশটি ভেঙে দেয়।

মন্তব্য করুন