কলাবাগানের সেই জমি ভোগ করবেন বাসন্তী
টাঙ্গাইলের মধুপুরে গারো সম্প্রদায়ের বাসন্তী রেমার কলার বাগান কেটে দেওয়ার বিষয়ে বৃহস্পতিবার সকালে বন বিভাগের দোখলা বাংলোয় প্রশাসন, বন বিভাগ এবং গারো সম্প্রদায়ের নেতারা বৈঠক করেছেন।
বৃহস্পতিবার বৈঠকে গারো নেতাদের বিভিন্ন দাবির আলোকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে তিনি বাসন্তী রেমার দখলকৃত জমি দখল করবেন এবং উপজেলা প্রশাসন তাকে একটি বাড়ি হস্তান্তর করবে। একই সঙ্গে মধুপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান চারোয়ার আলম খান আবু ও শোলাকুড়ি ইউপি চেয়ারম্যান আক্তার হোসেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে বাসন্তীকে ১৫ হাজার এবং নগদ পাঁচ হাজার টাকা প্রদান করবেন।
সভায় আরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে বাসন্তী রেমাও কমিউনিটি বনকর্মীদের বাইরে সুবিধা পাবেন। এছাড়া বন অঞ্চলে কাউকে কলা-আনারস ও অন্যান্য ফসল সংগ্রহের অনুমতি দেওয়া হবে না। তাদের অন্যান্য দাবিগুলি প্রশাসনের উচ্চপদস্থদের কাছেও জানানো হবে।
টাঙ্গাইল বিভাগীয় বন কর্মকর্তা সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন টাঙ্গাইল অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক জামিরুল ইসলাম, মধুপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফা জহুরা, সহকারী কমিশনার (ভূমি) এম এ করিম, উপজেলা চেয়ারম্যান সরওয়ার আলম খান, সহকারী বন সংরক্ষক জামাল হোসেন তালুকদার, মধুপুর সার্কেল অফিসার কামরান প্রমুখ। হোসেন, মধুপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তারিক কামাল, দোখলা রেঞ্জ অফিসার আবদুল আহাদ, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ইয়াস্টিনা নাকেরেক, শোলাকুড়ি ইউপি চেয়ারম্যান আক্তার হোসেন, ফুলবাগচালা ইউপি চেয়ারম্যান রেজাউল করিম বেনু, আরণখোলা ইউপি চেয়ারম্যান আবদুর রহিম, জয়নশাহী আদিবাসী পরিষদ নোকরে, সাধারণ সম্পাদক হরিদ সাংমা, টিডব্লিউএর চেয়ারম্যান উইলিয়াম ডাজেল, বাগাচাসের সভাপতি জন জেট্রা, জিএসএফের সাধারণ সম্পাদক লিয়াং রিচিল প্রমুখ।
মধুপুর বন এলাকার গারো সম্প্রদায়ের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার শত শত মানুষ তাদের দাবি নিয়ে ব্যানার ও ফেস্টুন নিয়ে বাংলোটির বাইরে দাঁড়িয়ে ছিলেন।
টাঙ্গাইলের মধুপুরে জমি উদ্ধারের নামে বন বিভাগ সম্প্রতি ট্রাক্টর দিয়ে স্থানীয় গারোদের ফসল উপড়ে দেওয়ার অভিযান শুরু করেছে। অভিযানের সময় উপজেলার আরানখোলা ইউনিয়নের আমতলী গ্রামের ১০ টি গারো পরিবারের পাঁচ একর জমি ধ্বংস হয়ে যায়। শোলাকুড়ী ইউনিয়নের পেগামারীতে বন দফতর দরিদ্র বাসন্তী রেমার জীবিকার একমাত্র উৎস, বাগানও কেটেছিল। ক্ষুব্ধ গারো লোকেরা বন বিভাগের রেঞ্জ অফিস ঘেরাও করে একটি প্রতিবাদ জানায়।