• বাংলা
  • English
  • বিনোদন

    কলকাতায় চলছে আন্তর্জাতিক বাঙালি সম্মেলন

    বিশ্বব্যাপী বাংলার উদ্যোগে কলকাতায় চলছে দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক বাঙালি সম্মেলন। গত শুক্রবার সল্টলেকের ইস্টার্ন জোনাল কালচারাল সেন্টারে (ইজেডসিসি) আন্তর্জাতিক সম্মেলন শুরু হয়েছে, যা রবিবার শেষ হবে।
    ১৮টি দেশের প্রায় ১৭০ জন প্রবাসী বাঙালি প্রতিনিধি হিসেবে এই সম্মেলনে অংশ নিয়েছেন। এই প্রবাসী বাঙালিদের বিশেষ করে স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ে সাহায্য করার জন্য সম্মেলনে প্রদর্শনী স্টল রয়েছে। এ ছাড়া সম্মেলনে তিন দিনব্যাপী বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও বাংলাদেশি চলচ্চিত্র দেখানো হচ্ছে।
    অনুষ্ঠানের আইনি অধিবেশনে বাংলার দুই বিচারক অংশ নেন। বিচারপতি চিত্তোষ মুখার্জি, ব্যারিস্টার আমিরুল ইসলাম, বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, হাসান বিচারপতি মো: রুহুল কুদ্দুস, বিচারপতি সোমেন সেন, বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী, বিচারপতি অশোক গঙ্গোপাধ্যায়, বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথ, বিচারপতি সমরেশ ব্যানার্জী, ব্যারিস্টার অনিন্দ্য মিত্র, ব্যারিস্টার জমির চৌধুরী, বিচারপতি মো. বিকাশ ভট্টাচার্য, চামেলী মজুমদার, ব্যারিস্টার তানিয়া আমির প্রমুখ।
    সেলিম, সুজন চক্রবর্তী, শামীম ওসমান, অভিজিৎ তরফদাররা রাজনৈতিক অধিবেশনে অংশ নেন।
    এছাড়াও শিক্ষা ও স্বাস্থ্য বিষয়ক অধিবেশনে অংশ নেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন চিকিৎসক সুকুমার মুখার্জি, কামরুল হাসান খান, শিবাজী বোস, অশোকানন্দ কোনার, সুজিত কর পুরকায়স্থ, গৌতম মুখার্জি, মামুন আল ডা. মাসুদা, শারমিন সাদিয়া, মোহাম্মদ আজিজুল ইসলাম, সামুল হক, অমিত চক্রবর্তী, গৌতম সমাদ্দার।
    শিক্ষাবিদ প্রফেসর পবিত্র সরকার, বাংলাদেশ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর মশিউর রহমান, প্রফেসর সব্যসাচী ভট্টাচার্য, প্রফেসর অশোক রঞ্জন ঠাকুর প্রমুখ।
    সেমিনারে সম্মেলনে আগত অতিথিরা সারা বিশ্বে বাংলা ভাষা ও বাঙালি জাতির অস্তিত্ব রক্ষায় আরও ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।
    বাংলাদেশ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মানবসম্পদ উন্নয়ন ও সংস্কার বিভাগের পরিচালক জয়ন্ত ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে এই আন্তর্জাতিক বাংলা সম্মেলনে সঙ্গীত ও নাটকের কর্মশালায় প্রায় ২৫ জন শিক্ষার্থী যোগ দিয়েছেন। কর্মশালায় উপস্থিত এই অধ্যাপক বলেন, মঞ্চ হোক বা সিলভার স্ক্রিন সময়ই এখন মানুষের কাছে সবচেয়ে মূল্যবান, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে যা মানুষ সহজলভ্য করেছে, তা হাতের নাগালেই বলা যায়। নাটক, মঞ্চ ও দর্শকের দূরত্ব ঘোচাতে নতুন প্রজন্মকে আরও সক্রিয় হতে হবে।

    মন্তব্য করুন