করোনা টিকা দেওয়ার জন্য শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ
সাতক্ষীরার শ্যামনগরে করোনা টিকা দেওয়ার বিনিময়ে উচ্চ মাধ্যমিক ও আলিম পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে নেওয়া হয়েছে দেড়শ টাকা।
বুধবার উপজেলার আটুলিয়ায় নববেঙ্কি গণমুখী ফাউন্ডেশনের কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি স্বীকার করে সংশ্লিষ্টরা জানান, টিকাদানসহ টিকাদানে জড়িতদের আপ্যায়নের জন্য জেলা সদর থেকে কিছু টাকা নেওয়া হয়।
জানা গেছে, মঙ্গলবার সকালে শ্যামনগরের ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতাল ও নববেঙ্কি গণমুখী ফাউন্ডেশন সেন্টারে শিক্ষার্থীদের করোনার টিকা দেওয়া শুরু হয়। আসন্ন এইচএসসি ও আলিম পরীক্ষায় অংশগ্রহণের অপেক্ষায় থাকা শিক্ষার্থীরা পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী এই দিনে টিকা নিতে আসে। লাইনে দাঁড়িয়ে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা আদায় করা হয়। কেন্দ্রে টিকা নিতে আসা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক প্রতিনিধিরা টাকা নিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, টিকা দেওয়ার জন্য শিক্ষকরা তাদের আগেই জানিয়েছিলেন। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী ভ্যাকসিন নেওয়ার আগে তাদের কাছ থেকে মাথাপিছু ১৫০ টাকা আদায় করা হয়। সে হিসেবে এক হাজার ২০০ শিক্ষার্থীর কাছ থেকে আদায় হয়েছে প্রায় এক লাখ ৬০ হাজার টাকা। শিক্ষার্থীরা জানায়, উপজেলার নওয়াবেঙ্কি কলেজ, মুন্সীগঞ্জ ডিগ্রি কলেজসহ একাধিক উচ্চ মাধ্যমিক ও আলিম মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে এ টাকা আদায় করা হয়েছে।
এ বিষয়ে শ্যামনগর সরকারি মহসিন কলেজের অধ্যক্ষ আবদুর রহমান বলেন, সাতক্ষীরা থেকে টিকাদানসহ টিকাদানের সঙ্গে জড়িতদের মনোরঞ্জনের জন্য শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে কিছু টাকা নেওয়া হয়।
ফাইজার টিকা দেওয়ার জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে উপজেলার নববেঙ্কী গণমুখী ফাউন্ডেশন ও ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতালের ভেন্যু হিসেবে স্থান নির্বাচন করা হয়। নওয়াবেঙ্কি ফাউন্ডেশন সেন্টারে ১২০০ জন এবং ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতাল সেন্টারে ৮৯০ জন শিক্ষার্থীকে করোনা ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে।