• বাংলা
  • English
  • জাতীয়

    করোনার দ্বিতীয় তরঙ্গ।অর্থনীতিতে আবার ভয়

    গত মার্চের শুরুতে দেশে যখন করোনার সংক্রমণ ধরা পড়েছিল, তখন তৈরি পোশাক খাতের রফতানিকারীরা একের পর এক ক্রয়ের আদেশ হারাতে শুরু করে। পরে, পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়ে গেলে তারা জুনের মধ্যে তাদের কেনা শুরু করে, যা জুলাইয়ের রফতানি পরিসংখ্যানগুলিতে প্রতিফলিত হয়েছিল। তবে দ্বিতীয় তরঙ্গ আবারও করোনা আঘাত করেছে, প্রথম তরঙ্গের ক্ষয়ক্ষতি থেকে পুনরুদ্ধার করতে ব্যর্থ হয়েছে, যা ইতিমধ্যে তৈরি পোশাকের রফতানি আদেশকে ৩০শতাংশ কমিয়েছে। শিল্প অভ্যন্তরীণ সূত্রে জানা গেছে, সেপ্টেম্বরের মধ্যেই করোনার প্রথম তরঙ্গের স্থবিরতা থেকে রফতানি খাত পুনরুদ্ধার হয়েছে। তবে দ্বিতীয় ধাক্কাটি অক্টোবরে শুরু হয়েছে। করোনার দ্বিতীয় তরঙ্গ শুরু হওয়ার সাথে সাথে ক্রেতারা ক্রয়ের উপর তাদের আঁকড় আরও শক্ত করতে শুরু করেছেন। করোনার দ্বিতীয় তরঙ্গ পোশাক ক্রয় কমপক্ষে ৩০ শতাংশ কমিয়েছে।অর্থনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীরা আশঙ্কা করছেন যে বর্তমান পরিস্থিতি আগামী দিনে দেশের শিল্প খাতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে, যা দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব ফেলবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত অর্থবছরের জুলাই-সেপ্টেম্বরে বিভিন্ন পণ্য আমদানির জন্য এলসিগুলি ১ হাজার ৪৬০ কোটি ডলার ব্যয়ে খোলা হয়েছিল। চলতি অর্থবছরের একই সময়ে ১,৩৩০ কোটি ডলার খোলা হয়েছে। এ সময়, এলসি খোলার সংখ্যা প্রায়৯ শতাংশ কমেছে।

    গত অর্থবছরের জুলাই-সেপ্টেম্বরের তুলনায় চলতি অর্থবছরের একই সময়ে শিল্প যন্ত্রপাতি আমদানির জন্য এলসি খোলার পরিমাণ কমেছে ১৫. শতাংশ, আমদানি কমেছে ৩৯ শতাংশ। অন্যান্য শিল্প সরঞ্জাম আমদানির জন্য এলসি খোলার পরিমাণ বেড়েছে প্রায় ৩ শতাংশ। আমদানি১৫ শতাংশেরও বেশি কমেছে। নতুন শিল্প স্থাপনের গতি যেমন হ্রাস পেয়েছিল, তেমনি যন্ত্রপাতি আমদানিও হ’ল, এবং এলসি খোলার হারও হ’ল।

    কোভিড -১৯ এর ধাক্কায় বিশ্ব অর্থনীতি কাঁপছে। বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে, একটি ব্যতীত সমস্ত বড় অর্থনীতি সঙ্কুচিত হয়ে পড়েছে। এ বছর বিশ্বের ৭ কোটি থেকে ১০ কোটি মানুষ চরম দারিদ্র্যের শিকার হবেন। ১৯৯০ সালে বিশ্বের দরিদ্রতম মানুষ সংখ্যা প্রায় ২০০ কোটি গত বছর এই সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ৬৩ কোটি, যা মোট জনসংখ্যা মাত্র ৮ শতাংশ।

    করোনার দ্বিতীয় তরঙ্গ অর্থনীতিতে ক্ষতি করতে পারে। কারণ, দ্বিতীয় তরঙ্গটি প্রথম পর্যায়ের চেয়ে দীর্ঘ এবং দীর্ঘ হতে পারে। এ কারণে বিশ্বের অন্যান্য দেশের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্থ হলেও বাংলাদেশের অর্থনীতি তেমন ক্ষতিগ্রস্থ হয়নি। তবে সংশ্লিষ্টরা বলেছেন যে করোনার দ্বিতীয় তরঙ্গ মোকাবেলা করা কিছুটা কঠিন হবে।

    মন্তব্য করুন