করাচি থেকে দ্বিগুণ পণ্যবাহী সেই জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে
পাকিস্তান থেকে কার্গো আনার জন্য সংবাদে থাকা এমভি ইউয়ান ফা ঝং আবারও চট্টগ্রাম বন্দর জেটিতে এসেছে। গতকাল বিকেলে জাহাজটি নিউমুরিং কন্টেইনার টার্মিনাল (এনসিটি) জেটিতে এসে পৌঁছায়। মোট ৮১১ টিইইউ (টুয়েন্টি ফুট ইকুইভালেন্ট ইউনিট) কন্টেইনার জেটিতে এসেছে। প্রথমবারের তুলনায় এবার প্রায় দ্বিগুণ কার্গো নিয়ে জাহাজটি বন্দরে এসেছে বলে জানা গেছে।
চট্টগ্রাম কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, আইজিএমের ঘোষণা অনুযায়ী জাহাজটিতে সবচেয়ে বেশি পরিশোধিত চিনি রয়েছে। ২৮৫টি কনটেইনার ১,৪৮,২০০ ব্যাগে প্রায় ৭০০০ টন চিনি রয়েছে। কাঁচ তৈরির কাঁচামাল ডলোমাইটের ১৭১টি কনটেইনার আমদানি করা হয়েছে। সোডা অ্যাশের ১৩৮ কনটেইনার, সিমেন্ট তৈরির জন্য একটি কাঁচামাল। এ ছাড়া ৪৬ কন্টেইনার কাপড়, ১৮ কন্টেইনার আলু এবং ২০টি কন্টেইনার আখের গুড় নিয়ে এসেছেন বিভিন্ন আমদানিকারকরা।
জাহাজটির স্থানীয় এজেন্ট রিজেন্সি লাইন্স লিমিটেডের নির্বাহী পরিচালক আনিস উদ দৌলা জানান, জাহাজটি প্রথমবারের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ পণ্য আমদানি করেছে। চট্টগ্রাম বন্দর সচিব মোঃ ওমর ফারুক বলেন, করাচি থেকে জাহাজটি এনসিটি বন্দরে এসেছে। ইয়ার্ডে আমদানিকৃত পণ্য খালাসের পর খালি কন্টেইনার নিয়ে জাহাজটি বন্দর ছেড়ে যাবে।
জাহাজটি সংযুক্ত আরব আমিরাত ও পাকিস্তান থেকে ৮১১টি একক কন্টেইনার পণ্য নিয়ে এসেছে, যার মধ্যে ৮৬ শতাংশ পণ্য পাকিস্তান থেকে এবং ১৪ শতাংশ সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে এসেছে। সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে ১১৩টি কন্টেইনার নিয়ে জাহাজটি পাকিস্তানের করাচিতে গিয়েছিল। সেখান থেকে আরও ৬৯৮টি কন্টেইনার জাহাজে লোড করা হয়।
পানামার পতাকাবাহী এমভি ইউয়ান জিয়াং ফা ঝং জাহাজটি ১১ নভেম্বর দুবাই থেকে করাচি হয়ে প্রথম যাত্রায় চট্টগ্রামে পৌঁছেছিল।
এরপর জাহাজটি ৩৭০ টিইইউ এর কার্গো আনলোড করে। এর মধ্যে ২৯৭টি কন্টেইনার পাকিস্তানের করাচি বন্দর থেকে এবং ৭৩টি সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে আনা হয়েছে। সেই সময়, বেশিরভাগ পাত্রে বস্ত্র শিল্পের কাঁচামাল, কাচ শিল্পের কাঁচামাল, গাড়ির যন্ত্রাংশ, রং, কাঁচামাল এবং কাপড় ছিল। ৪২টি রিফার (বাতান নিয়ন্ত্রিত) পাত্রে পেঁয়াজ এবং ১৪টি পাত্রে আলু রয়েছে। এ ছাড়া কাপড়, চুনাপাথর, সোডা অ্যাশ, পেঁয়াজ, ম্যাগনেসিয়াম কার্বনেট এবং ডলোমাইট ছিল। বাংলাদেশের আকিজ গ্লাস ফ্যাক্টরি, প্যাসিফিক জিন্স, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস, নাসির গ্লাস, এক্স সিরামিকস, হাফিজ কর্পোরেশন, এমআর ট্রেডিংসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এসব পণ্য আমদানি করেছে।
Do follow: greenbanglaonline24