কক্সবাজার-৩: ঈগল প্রতীকের প্রচারণায় ইউপি চেয়ারম্যানকে মারধর-গুলি বর্ষণ
কক্সবাজার-৩ সদর-রামু-ইদগাঁও আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ব্যারিস্টার মিজান সাঈদের ঈগল প্রতীকের প্রচারণায় অংশ নেওয়া লোকজনের ওপর হামলা ও গুলি চালানোর ঘটনা ঘটেছে। এ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী এমপি সাইমুম সরওয়ার কমলের নেতৃত্বে শতাধিক কর্মী হামলায় অংশ নেয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ সময় রামুর জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সভাপতি কামাল শামসুউদ্দিন আহমদ প্রিন্সকে মারধরের চেষ্টা করা হয়। এতে জোয়ারিয়ানালার চেয়ারম্যান কামাল শামসুদ্দিন আহমদ প্রিন্স আহত হয়েছেন।
বুধবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে জোয়ারিয়ানালার মাদ্রাসা গেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
জোয়ারিয়ানালার চেয়ারম্যান কামাল শামসুউদ্দিন আহমদ প্রিন্স জানান, তিনি এবং অন্যরা মাদ্রাসা গেটে স্বতন্ত্র প্রার্থীর ঈগল প্রতীকের পক্ষে পূর্ব-পরিকল্পিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে প্রচারণা চালাচ্ছিলেন। এ সময় নৌকার প্রার্থী এমপি কামালের নেতৃত্বে শতাধিক কর্মী কয়েকটি গাড়ি নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। এমপি গাড়ি থেকে নেমে লাঠি হাতে এগিয়ে এসে মারধর শুরু করেন। এসময় স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এলে তারা এমপিকে অস্ত্র দিয়ে গুলি করার চেষ্টা করে। জনতা এসে তার সামনে দাঁড়ালে এমপি নিজেই তিন রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়েন। এসময় এমপির সাথে থাকা লোকজন চিৎকার করে স্থানীয় লোকজনকে সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু বিক্ষুব্ধ জনতা চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক অবরোধ করে। পুলিশ-বিজিবি ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
চেয়ারম্যান কামাল জানান, ঘটনার খবর পেয়ে কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এসএম সাদ্দাম হোসেন ঘটনাস্থলে আসেন। সাদ্দাম আমার ওপর হামলার প্রতিবাদ করলে এমপির লোকজন আবারও তিন রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে।
কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এসএম সাদ্দাম হোসেন বলেন, জোয়ারিয়ানলা আমার এলাকায়। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। পরিস্থিতি এখন শান্তিপূর্ণ।
তিনি আরও বলেন, শান্তিপূর্ণ ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচনের জন্য প্রধানমন্ত্রী নেতা-কর্মীদের পছন্দ অনুযায়ী প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করার অনুমতি দিয়েছেন। চেয়ারম্যান প্রিন্স তার পছন্দের প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণা চালানোর অধিকার সংরক্ষণ করেন। এখানে হামলা করা অন্যায়। ছাত্রলীগের সভাপতি হিসেবে শুরু থেকেই নৌকার পক্ষে কাজ করে যাচ্ছি। প্রিন্স আওয়ামী লীগের নেতা। এই হামলার প্রতিবাদ জানাই।
রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবু তাহের দেওয়ান জানান, ঘটনার খবর পেয়ে তিনি ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে গেছেন। ভিড় সরিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ ব্যাপারে নৌকার প্রার্থী এমপি সাইমুম সরওয়ার কমলের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।
এর আগে গত ২৭ ডিসেম্বর রামু বাইপাস এলাকায় ঈগল ক্যাম্পেইন ভ্যান ভাঙচুর করা হয়। এ ঘটনায় পরদিন ১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়।