কক্সবাজারে জামায়াতের দুই শতাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা
এ ঘটনায় কক্সবাজার জেলা জামায়াতের আমির ও সেক্রেটারিসহ দুই শতাধিক জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ। মামলায় ১৭ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। সরকার ও রাষ্ট্রবিরোধী স্লোগান দিয়ে নাশকতা সৃষ্টির লক্ষ্যে যানবাহন ভাঙচুর ও ককটেল বিস্ফোরণের মাধ্যমে সন্ত্রাস সৃষ্টির অভিযোগে মামলাটি করা হয়। ২৫ ডিসেম্বর রাতে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ সাঈদ নূর বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার আসামিরা হলেন, জেলা জামায়াতের আমির ও হাইকং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর আহমদ আনোয়ারী, সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট ফরিদ উদ্দিন ফারুকী, সহ-সম্পাদক জাহেদুল ইসলাম নোমান, সাংগঠনিক সম্পাদক শামসুল আলম বাহাদুর, শহর শাখার আমীর আবদুল্লাহ আল ফারুক, সেক্রেটারি রিয়াজ মোহাম্মদ শাকিল, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সচিব মাওলানা মোস্তাক আহমদ, রামু উপজেলা আমীর ফজলুল্লাহ মো. হাসান, সেক্রেটারি আনাম হারুন, ঈদগাহ উপজেলা আমীর মাওলানা সলিমুল্লাহ জিহাদী, জেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সেক্রেটারি মো. মহসিন।
কক্সবাজার সদর উপজেলার ঝিলংজা ইউনিয়নের চান্দের পাড়ার আবুল কাশেম, মুহুরী পাড়া এলাকার তাহের সিকদার, চান্দের পাড়া কলেজ গেট এলাকার আল আমিন, খুরুশকুল ফকিরপাড়ার সেলিম উদ্দিন, জেলা জামায়াতের কার্যকরী পরিষদের সদস্য নূর মোহাম্মদ ও জাকির হোসেন। ,ও আসামি করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ২৪ ডিসেম্বর সকালে কক্সবাজারে কালু দোকানের গ্যাস পাম্পের সামনে জামায়াত-শিবিরের দুই শতাধিক নেতাকর্মী যানবাহন ভাংচুর ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে সন্ত্রাস সৃষ্টি করে। পুলিশ ও বেসামরিক লোকজন এগিয়ে এলে তারা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থল থেকে পাঁচটি লোহার রড, ১৫টি কাঠের লাঠি, ১০টি কাঁচের টুকরো ও বিস্ফোরিত ককটেল জব্দ করা হয়।
মামলার তথ্য নিশ্চিত করে বাদী এসআই সাঈদ নূর বলেন, গত ২৪ ডিসেম্বর শনিবার এ ঘটনা ঘটে। পরদিন মামলা হয়। তবে কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।
অভিযুক্ত জামায়াতের আমির নুর আহমদ আনোয়ারী বলেন, পূর্ব-পরিকল্পিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে আমরা শান্তিপূর্ণ মিছিল করেছি। কোন পুলিশ দেখিনি। দলীয় কর্মসূচিতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির জন্য এই মামলা গায়েব।
স্থানীয় মান্না-সালওয়া রেস্তোরাঁর মালিক ছায়েদুল হক বলেন, আমি ওইদিন সকাল সাড়ে ৬টায় দোকান খুলি। রাত ৮টার দিকে জামায়াতের মিছিল পূর্ব দিক থেকে এসে পশ্চিম দিকে চলে যায়। এবার কোনো ককটেল বিস্ফোরণ বা গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেনি।