বিবিধ

ওই দিন সানজিদাও হাতে ব্যথা পান, তদন্তে আসল ঘটনা বেরিয়ে আসবে বলে জানান হারুন।

শাহবাগ থানায় দুই ছাত্রলীগ নেতাকে মারধরের ঘটনায় প্রশাসনে চলছে তুমুল বিতর্ক। এডিসি হারুন অর রশিদকে সাময়িক বরখাস্ত এবং শাহবাগ থানার পরিদর্শক (অপারেশন্স)কে প্রত্যাহার করা হয়েছে। পরে বরখাস্ত এডিসি হারুনকে রংপুরে সংযুক্ত করা হয়। এরই মধ্যে এই ঘটনায় সামনে এসেছে নতুন তথ্য।

 ঘটনার কয়েকদিন পর এপিএস আজিজুল হক মামুনের স্ত্রী এডিসি সানজিদা আফরিন ওই রাতে কী ঘটেছিল তা নিয়ে মুখ খুলেছেন। তিনি বলেন, ‘হারুন স্যার প্রথমে আমার স্বামীকে আঘাত করেন। আমার স্বামী একটি ছোট জিনিসকে বড় করে তোলে. মঙ্গলবার গণমাধ্যমকে তিনি এ কথা বলেন।

 সানজিদা পুলিশের ৩১তম বিসিএসের কর্মকর্তা। তিনি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অপরাধ বিভাগে অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। সানজিদা সাংবাদিকদের বলেন, “আমি বেশ কিছুদিন ধরে হৃদযন্ত্রের সমস্যায় ভুগছিলাম। ২০১৯ সাল থেকে হাইপারটেনশনের ওষুধ খাচ্ছি।

চার-পাঁচ মাস সমস্যা বাড়ল। শনিবার ব্যথা বাড়ে, আমি একজন ডাক্তার দেখাতে চাই কারণ সেদিন আমার অবসর সময় আছে। আমি যে ডাক্তারকে দেখি সে দেশের বাইরে, আমি এডিসি হারুন স্যারকে ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালে একটি সিরিয়াল পরিচালনা করতে বলি। তিনি ওসির মাধ্যমে সিরিয়ালটি পরিচালনা করেন।

সানজিদা বলেন, সন্ধ্যা ৬টায় সেখানে যাওয়ার পর দেখি, যে ডাক্তারের অ্যাপয়েন্টমেন্ট নেওয়া হয়েছে তিনি কনফারেন্সে আছেন।

হারুন স্যারকে বিষয়টি জানালে তিনি কাছাকাছি থাকায় হাসপাতালে আসেন। তিনি এসে একজন ডাক্তারকে ম্যানেজ করলেন। তাকে দেখানোর পর বেশ কিছু পরীক্ষা দেন।

সানজিদা বলেন, ঘটনার সময় আমি ইটিটি রুমে ছিলাম। টিটি করার ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর আমি বাইরে একটা হৈচৈ শুনতে পেলাম। স্যারকে (এডিসি হারুন) প্রথমে চিৎকার করতে শোনা যায়, ‘ভাই, আমার গায়ে হাত তুললেন কেন? তুমি আমার গায়ে হাত দিতে পারবে না।”

সানজিদা বলেন, “আমি প্রথমে ভেবেছিলাম হয়তো অন্য কারো সঙ্গে কোনো সমস্যা হয়েছে। কিছুক্ষণ পর আমি আমার স্বামীকে (আজিজুল হক মামুন) দেখলাম, তিনি আসলে সেখানে কী করছেন, কেন গেলেন তা আমি জানি না। তাকে সম্পূর্ণ আউট বলে মনে হচ্ছে। তার মনের এবং খুব উত্তেজিত তার সাথে আরো কিছু ছেলে ছিল, আমি আসলে তাদের চিনি না তারা স্যার (এডিসি হারুন) তাকে মারধর করার জন্য ইটিটি রুমে নিয়ে আসে।

সানজিদা বলেন, “তখন আমার স্বামী তার সঙ্গে থাকা লোকজনকে বললেন, ‘এই ভিডিও কর।’ তারপর সবাই ফোন বের করে ভিডিও শুরু করে। যখন তারা ভিডিও শুরু করে তখন আমি আমার স্বামী এবং তার সাথে থাকা লোকজনের সাথে আমি চিল্লাচিল্লি  শুরু করি। এরপর যারা ভিডিও করছিল তাদের মোবাইল ফোন ধরার চেষ্টা করলে তাদের হাতের ছোঁয়ায় আমার হাতে একটু ব্যথা হয়। আমি চাইনি কেউ আমাকে ওই অবস্থায় ভিডিও করুক।”

সানজিদা বলেন, ‘আমি সোশ্যাল মিডিয়ায় মারপিটের শিকার। হারুন স্যারের সাথে আমার বিয়ের ছবি ছড়ানো। মনোযোগ দিয়ে দেখলে যে কেউ বুঝবেন আমি সেই ছবির মহিলা নই।

তদন্তে আসল ঘটনা বেরিয়ে আসবে বলে জানান হারুন

গতকাল দুপুরে এডিসি হারুনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘ঘটনা তদন্তে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্তাধীন বিষয়ে কথা বলা আমার পক্ষে উপযুক্ত হবে না। তদন্তে আসল ঘটনা বেরিয়ে আসবে।